গত মাসের ১৩ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্য চলেছেন পূণ্য স্নান করতে। ডুব দিচ্ছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মানুষের পা পড়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ট্রেনে, বাসে সর্বত্রই লাগামহীন ভিড়। যারা ট্রেনে, বাসে যেতে পারছেন না তারা সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
মহাকুম্ভে ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। এমনকি মহাকুম্ভে যাওয়া এবং আসার পথেও প্রাণ হারিয়েছেন বহু পুন্যার্থী। যদিও এই পরিস্থিতিতেও মানুষের প্রধান ভরসা ট্রেন। কিন্তু সেই ট্রেনে বসার জায়গা কোথায়? দাঁড়ানোর জায়গারই অমিল। কিছুদিন আগে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমন একটি ভিডিও দেখেছি যেখানে ট্রেনের কামরায় জায়গা না পেয়ে ইঞ্জিনের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন পুন্যার্থীরা।
এই ধরনের যে কোনও যাত্রার ক্ষেত্রে সব থেকে পকেট সাশ্রয়ী যানবাহন অবশ্যই ট্রেন। আর এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি অমিল ট্রেনেরই। আর এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে এবার ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। প্রয়াগরাজের প্রচন্ড ভিড় সামাল দিতে তিনটি বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর রেলওয়ে।
এই বিষয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সপ্তাহ শেষে দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজ হয়ে বারাণসী যাবে এই তিনটি ট্রেন। আগামী ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রিতে শেষ হবে মহা কুম্ভের মেলা। সেদিনের পুণ্য তিথিতে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর পুণ্য অর্জন করতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রয়াগরাজে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি মানুষ মহাকুম্ভে এসে স্নান করেছেন। আর অন্তিম দিনে ভিড় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। আর সেই কারণেই বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত। উত্তর রেলের তরফে জানানো হয়েছে আগামী, ১৫, ১৬, ১৭ই ফেব্রুয়ারি নয়িদিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ স্পেশাল এই বন্দে ভারত। প্রয়াগরাজে পৌঁছবে দুপুর ১২টায়। এই ট্রেনের শেষ গন্তব্য বারাণসীতে থামবে দুপুর ২টো ২০ মিনিটে।