শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কালীপুজোর আগের চতুর্দশীকে কেন বলা হয় ভূত চতুর্দশী? কেনই বা রয়েছে চোদ্দশাক খাওয়ার রীতি?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১২:১৯ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ০৭:১০ পিএম

কালীপুজোর আগের চতুর্দশীকে কেন বলা হয় ভূত চতুর্দশী? কেনই বা রয়েছে চোদ্দশাক খাওয়ার রীতি?
কালীপুজোর আগের চতুর্দশীকে কেন বলা হয় ভূত চতুর্দশী? কেনই বা রয়েছে চোদ্দশাক খাওয়ার রীতি?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কালীপুজোর আগে চতুর্দশীকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী। এই রাতে ১৪ টা প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালাতে হয়। মনে করা হয়, এই রাতে মৃত পূর্বপুরুষরা মর্ত্যে আসেন। তাই ১৪ পূর্বপুরুষের স্বার্থে ১৪ বাটি জ্বালানো হয়। সেইসব প্রেতাত্মাদের পুজো করা হয়। জল দেওয়া হয়। আবার এরই পাশাপাশি এই চতুর্দশী নিয়ে রয়েছে শাস্ত্রীয় কাহিনিও। সেটা দৈত্যরাজ বলির গল্প। তিনি স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল অধিকার করেছিলেন। সেই সময় দেবতারা স্বর্গ পুনরুদ্ধার করার জন্য ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। ভগবান বিষ্ণু তখন বামন অবতার নিয়ে বলির কাছে আসেন। তাঁর কাছে মাত্র ৩ পা জমি চান। বলি তাতে রাজিও হয়ে যান।

ভগবান বিষ্ণুর বামন অবতার তাঁর দুই পা স্বর্গ এবং মর্ত্যে দেন। আর নাভি থেকে বেরিয়ে আসা তৃতীয় পা পাতালে না-দিয়ে বলির মাথায় দেন। আর, পাতাল শাসনের ভার বলির হাতে তুলে দেন। এর পাশাপাশি তিনি আশীর্বাদ করেন যে, বলি এখন থেকে মর্ত্যেও পুজো পাবেন। সেই থেকেই কালীপুজোর আগের রাতে দৈত্যরাজ বলি সহস্র ভূত-প্রেত, অশরীরী আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে পুজো নিতে আসেন।

এর পাশাপাশি আবার কয়েকটি শাস্ত্রীয় মতে, এই রাতেই দেবী চামুণ্ডা চোদ্দজন ভূত অনুচরকে নিয়ে মর্ত্যে আসেন। অশুভ শক্তি দূর করতেই তাঁর এই মর্ত্যে আগমন। আবার এও কথিত আছে যে, এক ব্রাহ্মণ এবং তাঁর স্ত্রী বাড়ি নোংরা করে রাখতেন। ক্রমশ নোংরা থাকার কারণে সেই বাড়িতে ভূতের উপদ্রব শুরু হয়। সেই ভূত তাড়াতেই ১৪ ধরনের গাছের পাতা দিয়ে বাড়িতে গঙ্গাজল ছড়িয়েছিলেন ব্রাহ্মণ।

সেই থেকে ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়ার নিয়ম চালু হয়। এই বিশেষ দিনে যে ১৪ শাক খাওয়া হয়, সেগুলো হল- ওল, সরষে, নিম, বেতো, গুলঞ্চ, শুষনি, হেলেঞ্চা, জয়ন্তী, কালকাসুন্দে, পলতা, ভাটপাতা, ঘেঁটু, সরষের পাতা। উল্লেখ্য, এইসব শাকের আবার ঔষধি গুণও রয়েছে।