এই অভ্যাসেই কারণেই কি বাড়ছে শিশুদের হৃদরোগের সমস্যা? বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সবাই ইন্টারনেটে মজে। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই এখন মজে মোবাইল, ল্যাপটপের নেশায়। এখন আর বাচ্চাদের বিকেলে খেলতে যাওয়ার সেই অমোঘ আকর্ষণ আর নেই। বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুদের গল্প করার সেই টান নেই। এখন সবাই মজে মোবাইলে।
জন্ম ইস্তক শিশুর চোখের সামনে মোবাইল খুলে দিচ্ছেন বাবা-মা।ব্যস্ত জীবনে তাদের কাছেও রেহাই এই মোবাইল। চোখের সামনে মোবাইল মেলে দিলে বাচ্চাকে সামলানোর ঝক্কিও অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু জানেন কী এর ফলে কত বড় বিপদ আসতে চলেছে!
আসলে আপাতভাবে তেমন বিপদ দেখা না গেলেও গবেষণা বলছে দীর্ঘ সময় ব্যাপী মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখলে, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত স্ক্রিনে চোখ রাখলে উচ্চ রক্তচাপের ওপর গভীর প্রভাব পরে। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে বলছেন, রিলগুলি সমানে স্ক্রল করার ফলে মানসিক উদ্দীপনা এবং রক্তচাপ তৈরি হয়। যার ফলে অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে পড়ে মস্তিষ্ক। এর ফলে উচ্চ হৃদস্পন্দন এবং অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। সেইসঙ্গে রিল দেখার সময় মানুষ বসে থাকার কারণে কমে যায় শারীরিক কার্যকলাপ। যার ফলে স্থূলতা দেখা দেয়। যার ফলে বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপ। এর থেকে মুক্তি পেতে আপনার স্ক্রিনের সময়কে বেঁধে দিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ঘুমানোর এক থেকে দুই ঘন্টা আগে কম্পিউটার, মোবাইল বা অন্য যেকোনও জিনিস ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। রাতে ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক গ্যাজেট গুলি পাশে রাখবেন না।