শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

২২ গজের দৌড় ছেড়ে ত্রাতার ভূমিকায় ভাজ্জি! ভারতীয় কিশোরীকে উদ্ধার করে দেশে পাঠালেন হরভজন

মৌসুমী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ১০:৪৩ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম

২২ গজের দৌড় ছেড়ে ত্রাতার ভূমিকায় ভাজ্জি! ভারতীয় কিশোরীকে উদ্ধার করে দেশে পাঠালেন হরভজন
২২ গজের দৌড় ছেড়ে ত্রাতার ভূমিকায় ভাজ্জি! ভারতীয় কিশোরীকে উদ্ধার করে দেশে পাঠালেন হরভজন

ত্রাতার ভূমিকায় হরভজন সিং। ২১ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন তিনি। ওমান থেকে ওই ভারতীয় কিশোরীকে উদ্ধার করেছেন হরভজন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর হরভজন সিং কে ধন্যবাদ জানিয়েছে ২১বছরের মেয়েটির ওই পরিবার।

২১ বছরের কমলজিৎ কৌর বাবা ও তিন ভাই বোনকে নিয়ে থাকতেন। পেশায় দিনমজুর বাবাকে আর্থিক সাহায্যের জন্যই কাজ খুঁজছিলেন তিন ভাই বোনের মধ্যে সবথেকে বড় কমলজিত। কাজ খোঁজার সূত্রেই জকসির সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওমানে একটি বাড়িতে রান্নার কাজ দেবেন বলে কমলজিত কে আশ্বাস দেন ওই ব্যক্তি। এরপর জকসির সিং এর কথায় বিশ্বাস করে মাসকাট বিমানবন্দরে আসেন কমলজিত। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে জোর করে বোরখা পরিয়ে দেওয়া হয় এবং আরব ভাষা শেখানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর জোর করে কমলজিতকে একটি অফিসে নিয়ে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তার।

এর কিছুদিন কাটার পর একটি সিম যোগাড় করেন কমলজিত। সেখান থেকেই যোগাযোগ করেন বাড়ির সঙ্গে। নিজের অবস্থার কথা জানান। গোটা ঘটনা শুনে কমলজিতের বাবা অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই ব্যক্তি এরপর ফোনে কমলজিতের বাবাকে হুমকি দিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চান। এর মধ্যেই কমলজিতের কাকা যিনি আম আদমি পার্টির নেতা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন কমলজিতের বাবা।কমলজিতের এই কাকাই এরপর আম আদমি তরফে মনোনীত রাজ্য সভার সদস্য হরভজন সিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

গোটা ঘটনা শুনে হরভজন সিং ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে ওই ২১ বছরের কমলজিত কৌড় কে উদ্ধার করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হরভজন সিং জানিয়েছেন, "ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে এই কর্মকাণ্ড সম্ভব হয়েছে। রাষ্ট্রদূত অমিত নারাং অনেক সাহায্য করেছেন। তুমি আমার কাজটা করেছি মাত্র"।

অন্যদিকে কমলজিত জানিয়েছেন, "হরভজন সিংকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারবো না তিনি অনেক বড় সাহায্য করেছেন আমাদের। এরপর ভারতীয় দূতাবাসের কাছ থেকে আমার কাছে ফোন এসেছে তারাই আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছে দেশে ফেরার"।