শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

‘দলের সিস্টেম বুঝতে পারেননি, তাই একটু মানসিক সমস্যা হচ্ছে’! হিরণকে কটাক্ষ দিলীপের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৬:৪২ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ১২:৪৩ এএম

‘দলের সিস্টেম বুঝতে পারেননি, তাই একটু মানসিক সমস্যা হচ্ছে’! হিরণকে কটাক্ষ দিলীপের
‘দলের সিস্টেম বুঝতে পারেননি, তাই একটু মানসিক সমস্যা হচ্ছে’! হিরণকে কটাক্ষ দিলীপের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে জিতে খড়গপুরের বিধায়ক হয়েছেন অভিনেতা হিরণ। কিন্তু তার পর থেকেই নানা কারণে তার সঙ্গে দলের মতবিরোধ হয়েছে। বিশেষত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। এবার হিরণের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সংগঠনের সঙ্গে আদৌ আছেন কিনা, সেই বিষয়েও। এমনকি ‘বেসুরো’ বা ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের ‘মানসিক সমস্যা’ আছে বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি।


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘দলের মধ্যে সব ব্যবস্থা আছে। বাকিদের কোনও অভিযোগ নেই। যাঁরা এরকম মনে করছেন, তাঁরা হয়তো সংগঠনের সঙ্গে নেই। তাই তাঁদের এমন মনে হচ্ছে। দলের পুরো ব্যবস্থা আছে। দিল্লি থেকে আরম্ভ করে অবজারভার থেকে এখানে আরম্ভ হয়েছে। কিছু লোকের মনে হচ্ছে যে তিনি পার্টির মধ্যে থেকেও নিজে আলাদা একা। সেই হতাশা থেকে অনেকেই কমেন্ট করছেন। দলের সিস্টেম যাঁরা বুঝতে পারেননি, তাদের মধ্যে এধরনের সমস্যা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন, তাঁর যে জায়গা হওয়া উচিত, সেটা হয়নি। তাই তাদের মধ্যে একটু মানসিক সমস্যা আছে।’ 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিরণ বলেছিলেন যে, ‘বঙ্গ বিজেপি যেন অভিভাবকহীন! আগলে রাখতে পারছে না নিজের সন্তানদের। সংসারে বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি হয়, ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া হয়। দিনের শেষে আবার সব ঠিকও হয়ে যায়। তবে একজন অভিভাবক কিংবা বাবা-মায়ের কখনও নিজের সন্তানের হাত ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়! তাহলে কিন্তু সন্তানরা হয় বিপথে চলে যাবে, নয় হারিয়ে যাবে কিংবা অনাথ হয়ে পড়বে।’


অভিনেতা-বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ, দল ছাড়ার হিড়িক চলছে। বেসুরোরা ক্রমশই একজোট হচ্ছিলেন। সবমিলিয়ে একটা ডামাডোলের পরিস্থিতি ক্রমেই তৈরি হচ্ছিল। এখানেই শেষ নয়, এরপরই সোমবার সন্ধ্যাতেই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে। যে ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন হিরণ।