বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি ছেড়ে অনেকেই বেরিয়ে আসেন। এখনও বিজেপির অন্দরে অশান্তি এবং পদ ও দলছাড়ার ধারা অব্যাহত। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমান সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের পরে যাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরাই চলে যাচ্ছেন’। পাশাপাশি নাম না করে মুকুল রায়কেও আক্রমণ করেন। তিনি মুকুল প্রসঙ্গে বলেন, ‘যাঁদের চাণক্য বলে মাথায় তুলে রাখা হয়েছিল, তাঁরাও ফিরে গিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের সাধারণ কর্মীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। সেই দলত্যাগীদের নামের তালিকায় রাজীব থেকে সব্যসাচীদের মতো হেভিওয়েটদের নামও ছিল। কিন্তু বাংলার একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে। বিজেপি বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর হলেও, সে স্বপ্ন সফল হয়নি। কাজেই এক এক করে ঘরছাড়াদের প্রায় সকলেই ঘরে ফিরতে শুরু করেন। সেই প্রসঙ্গেই এদিন দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন। একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে ফের তৃণমূলে জগ দিয়েছেন। ফিরেছেন রাজীব-সব্যসাচীরাও।
এদিকে, মুকুল রায়ের অবস্থান ঘিরে এখনও বিতর্ক মেটেনি। বিজেপির দাবি তিনি তৃণমূলে গিয়েছেন। কিন্তু মুকুল রায় দাবি করছেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছে। এদিকে বিজেপির বিধায়ক পদও ছাড়েননি। যদিও বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তাঁর দেখা মেলে না। পাশাপাশি মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে মামলাটি এখনও বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিচারাধীন। অপরদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদার, বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে সামিল হয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় তো বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতেওছেন।
যদিও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী এখন বিরোধী দলনেতা। আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি এখনও বিজেপিতে আছেন। তাঁর স্ত্রী আবার বিজেপির টিকিটে জিতে কাউন্সিলরও হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘আমি ভুল না সঠিক, সেটা তাঁদেরই প্রমাণ করতে হবে।’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, সেই সব নেতারা এখন বিজেপি ছাড়েননি।’ এদিকে, অর্জুন সিং সম্প্রতি জুট ইস্যুকে ঘিরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। সেই প্রসঙ্গে পরোক্ষে অর্জুনের ইস্যুকে সমর্থন করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ স্কুল ছুটি দেওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন। স্কুল ছুটি প্রসঙ্গে তিনি ফের একবার উত্তরবঙ্গকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে কি বাংলার অংশ মনে করেন না মমতা বন্দোপাধ্যায়? এজন্যই বারবার এরকম দাবি ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্কুলের অভিভাবকরা এসে কি দাবি করেছেন? স্কুল ছুটি কেন দেওয়া হল?’
আপনার মতামত লিখুন :