হঠাৎই আরএসএস-এর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বঙ্গ বিজেপির! নেপথ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নাকি অন্য কারণ?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একেবারে আটঘাট বেঁধেই ময়দানে নামছে বিজেপি। আর সেই প্রক্রিয়া যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই ইঙ্গিত খানিকটা মিলল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেতে এক বৈঠকে বসে বঙ্গ বিজেপি। সেখানে হাজির ছিলেন আরএসএসের সদস্যরাও। জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী বাড়িতে এই বৈঠক হয়েছে।

সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্ড ছাড়াও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সহ ক্ষেত্র প্রচারক জলধর মাহাত। এছাড়াও অন্যান্য সাংগঠনিক নেতৃত্বরাও এই দিনের বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মূলত, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে জরুরি বার্তা দিতে এই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে খবর।

২০২৫ সালে সংঘের ১০০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে বিস্তারক নিয়োগ করার একটি বিষয় উঠে আসছে। তাই নিয়েও গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকতে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও দেশের প্রতিটি মন্ডল পিছু একটি করে শাখা তৈরি করতে চায় আরএসএস। সেই শাখা তৈরি করতে বঙ্গ বিজেপিকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন রূপায়ণের বিষয়টিকেও আরএসএস অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির যাতে প্রস্তুতি শুরু করে, সেই বার্তাও এই বৈঠকে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, শারদীয়া এবং দীপাবলীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যই সৌজন্যের বৈঠক ছিল সেটি।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের এই বিশেষ বৈঠক বিজেপির আগামী দিনের স্ট্রাটেজি ঠিক করতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এদিকে সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই নির্বাচনের আগে কার্যত আরএসএসের ভাবধারায় বিশ্বাসী বিজেপি যাতে আরেকটু গুছিয়ে নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করতে পারে সেই কারণেও বার্তা দিতে এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে পর্যবেক্ষক মহলের তরফে।