বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

‘গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছে বিজেপি’! বিস্ফোরক দাবি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ১০:১৭ এএম | আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২, ০৪:১৭ পিএম

‘গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছে বিজেপি’! বিস্ফোরক দাবি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
‘গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছে বিজেপি’! বিস্ফোরক দাবি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছর শেষেই রয়েছে গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। এদিকে, নির্বাচন যতই কাছে এগিয়ে আসছে, ততোই রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে।

এবাত গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারের কাজে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার তিনি দাবি করেন, বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্ত হিসাবে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে দিলির মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।

উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসেই রয়েছে গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। দুই দফায় আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাটে ভোটগ্রহণ করা হবে। আর ভোটের ফল প্রকাশিত হবে ৮ ডিসেম্বর। গুজরাটে ১৮২ টি আসনের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল বিজেপির অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আম আদমি পার্টিই। গুজরাটে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরিওয়াল।

শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘মণীশ সিসোদিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়া ও দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে আসে এবং বলে যে যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তবে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং মণীশ সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করা হবে না।’

তবে, কেজরিওয়াল জানাননি যে বিজেপির পক্ষ থেকে কে তাঁকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি করার পরই বিজেপির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র সইদ জাফর ইসলাম বলেন যে, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে এবং বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। উনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন এবং পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। উনি ক্ষমতা দখলের জন্য যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্থিক তছরুপ মামলাতেই একের পর এক আপ নেতার নাম জড়াচ্ছে। চলতি বছরের ৩০ মে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রর জৈনকে গ্রেফতার করা হয়। এখানেই শেষ নয়, অন্যদিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নামও দিল্লির বিতর্কিত আবগারি আইন ও সেই সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়ায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই একসঙ্গে তদন্ত করছে এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে যদিও আম আদমি পার্টির অভিযোগ যে, দিল্লিতে আপ সরকারের উন্নয়নকাজ আটকাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির।