কাল মহাশিবরাত্রি। কাল দেশ জুড়ে প্রায় সবাই ভগবান শিবের আরাধনা করবে। আসলে ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই উৎসবটির এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দুধর্মের অত্যন্ত পবিত্র উৎসব এটি। মহাশিবরাত্রি পালিত হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে।
শিব পুরাণ অনুযায়ী, এই রাতেই মহা রাতেই দেবাদিদেব তান্ডব নৃত্য করেছিলেন। আবার অনেকের মতে, এই রাতেই শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়। আর তাই চতুর্দশী তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করা হয়। এই বিশেষ তিথিতে গঙ্গার জল, দুধ, বেল পাতা, আকন্দ ফুল, ফল, বেল সহযোগে দেবাদিদেবের আরাধনা করা হয়। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহা শিবরাত্রির ব্রত পালন করে থাকেন মেয়েরা। তবে ছেলেরাও এই ব্রত পালন করতে পারেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে তিন রাশির উপর মহাদেবের আশীর্বাদ সর্বদা বজায় থাকে। তবে চলতি বছরের মহা শিবরাত্রি বিশেষ। এই বছরের শিবরাত্রিতে সূর্য, বুধ এবং শনি একসঙ্গে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবে। উল্লেখ্য, প্রায় ১৪৯ বছর পর, এই তিনটি গ্রহের সংযোগ ঘটেছে শিবরাত্রিতে। যার ফলে এই বছরের শিবরাত্রি বিশেষ।
এই বিশেষ সময়ে কিছু এমন রাশি রয়েছে যারা ভগবানের প্রার্থনা করলে নিমেষেই ফল পেতে পারেন। এই মহাশিবরাত্রিতে, শুক্র তার উচ্চ রাশি মীন রাশিতে থাকবে, রাহুও তার সঙ্গে থাকবে। সূর্য ও শনি কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবে। এছাড়াও সূর্য, বুধ এবং শনি একসঙ্গে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবে এই মহা শিবরাত্রিতে। এই তিনটি গ্রহের সংযোগ এবং মহাশিবরাত্রির সংমিশ্রণ ১৯৬৫ সালে ঘটেছিল। আবার যা ঘটতে চলেছে ২০২৫ সালে।
এছাড়াও কুম্ভ রাশিতে পিতা-পুত্র এবং মীন রাশিতে গুরু-শিষ্যের মিলনে শিবের পুজো করা হবে। ১৮৭৩ সালে এমন একটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছিল, সেই দিনও বুধবার শিবরাত্রি পালিত হয়েছিল। আর চলতি বছরেও ২০২৫ সালেই বুধবার পালিত হতে চলেছে মহা শিবরাত্রি।