বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাস দুয়েক আগে নাবালিকা প্রেমিকাকে বিয়ে করেন এক যুবক। এরপর স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হয় সম্পর্ক। এমনকি বলপূর্বক তাঁর স্ত্রীর অন্যত্র বিয়েও দিয়ে দেওয়া হয়। সেই খবর পেয়ে নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হলেন স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মানিকচক থানা এলাকায়। যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ। এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পড়াশোনায় ইতি টেনে অন্য রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যান তিনি। সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে হরিদেবপুরের এক নাবালিকার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় মানিকচকের চৌকি মির্জাদপুর অঞ্চলের পঁচিশা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয়ের। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। এমনকি দু’মাস আগে পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। স্ত্রীকে বাড়িতেও নিয়ে আসেন। শুরু হয় সংসার জীবন। কিন্তু বিবাহিত জীবনে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় নাবালিকার পরিবার।
নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা মেয়ের এই সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই হবিবপুর থানায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মৃতের দাদা সুরেশ ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। প্রায় ৪৬ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হয় তাঁকে। অবশেষে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
স্বামীর বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ফের সঞ্জয়ের কাছে পালিয়ে আসেন ওই নাবালিকা। এবারেও খবর পেয়ে জোর করে বাড়ির মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর বাড়ির লোক। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
এই খবর জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন সঞ্জয়। তাই অন্য কোনও উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। বুধবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ। এরপর সঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় শোকোস্তব্ধ মৃতের পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :