1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট স্বয়ং স্বামীর! অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী বধূ

আত্রেয়ী সেন | তনুজ জৈন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট স্বয়ং স্বামীর! অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী বধূ
স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট স্বয়ং স্বামীর! অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী বধূ / প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ নিজেরই স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে। এর জেরে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। অপমানে বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সুজাপুরের গয়েশ বাড়ি বিশ্বাসপাড়া এলাকায়। মৃত গৃহবধুর নাম হুসনারা বিবি, বয়স ১৮ বছর।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিয়ের পর থেকেই মৃতার স্বামী তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মাস আগে গয়েশবাড়ি বিশ্বাস পাড়ার সাফির সেকের মেয়ে হুসনারা বিবির সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে হয় সুজাপুরে স্কুল পাড়ার অভিযুক্ত যুবক আক্তার শেখের। মৃতার স্বামী ওই যুবক পেশায় একজন প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকেই ওই যুবক স্ত্রীর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালাতেন বলেই অভিযোগ।

এবার নিজের স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করের অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধ। তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চূড়ান্ত অশান্তিও হয়। শেষপর্যন্ত অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনার পরই খবর যায় থানায়।

পুলিশ খবর পেয়ে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ইতিমধ্যেই মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুরু হয়েছে তদন্তও। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন