বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। অফিশিয়াল বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সেকথা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কেষ্ট, পরবর্তী সময়ে ঠিক কী ঘটতে চলেছ, সেটা হয়তো খানিকটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। এমনকি ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, গতকাল রাতে বোলপুরে নিজের ঘরে বসে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে লালমাটির এই দাপুটে নেতাকে।
বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরের সিবিআই-এর বিশাল বাহিনী অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে হানা দেয়। এদিন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ১০ থেকে ১২ টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছান সিবিআই-এর আধিকারিক। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির প্রতি গেটেই মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এরপর টানা একঘণ্টা পরে গ্রেফতার হন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরু পাচার মামলায় আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে।
এরপরে এদিন বিকেলেই সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মামলার নম্বর নম্বর RC 0102020A0019, মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। মামলাটি দায়ের হয়েছিল কলকাতার দুর্নীতি দমন শাখায়।
এরপর এদিনই বিকেল ৫ টা নাগাদ আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। এদিন, অনুব্রতকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোল আদালত। এদিন অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষ থেকে কোনও জামিনের আবেদন কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। যদিও এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের হেফাজতে চায় সিবিআই। আদালতে আজ বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল জানান, ‘আমি অসুস্থ, সেই বুঝে বিবেচনা করুন।’ আজ আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে পেশ করার সময় দলীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম ও বিজেপির দলীয় সমর্থেকরা।
আপনার মতামত লিখুন :