বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাম্প্রতিকে বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই- এর হাজিরার মুখোমুখি হতে হয়েছে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তা কখনও সেটা গরু পাচার মামলায় আবার কখনও রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। এবার সিবিআই-এর তলব নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। তিন অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি জেনেবুঝেই, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইকে ব্যবহার করছে।
গরু পাচার মামলা, কয়লাপাচার মামলা আবার কখনও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সাম্প্রতিকে যতবার জেরার মুখোমুখি হয়েছেন, ততবারই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই নেতা। প্রথম থেকেই এই তলব প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এবার মুখ খুললেন কেষ্ট। সিবিআই তলব পাওয়ার পর সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েওছিলেন। তখন থেকেই তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে দূরেই ছিলেন। তৃণমূলের যে নেতা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেই বিতর্কের জন্ম হত, সেই নেতার মৌনতাই সবাইকে অবাক করেছিল। তবে, এবার সেই মৌনতা ভেঙে তিনি মুখ খুলে প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, ‘এজেন্সির চাপ কীভাবে কাটিয়ে উঠছেন?’ এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডলের স্পষ্ট জবাব, ‘দেখুন আমি তো চুরিও করি নাই, ডাকাতিও করি নাই। আমি মহাদেবের ভক্ত। ওরা যেটা বলে ডাকছে সেটা ফলস ডাকছে।’
অন্যদিকে তিনি জানান যে, পুজোর পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি। এবার পঞ্চায়েত ভোটে কোনও দাওয়াই থাকছে না। তিনি জানান, ‘সবাই ফাইল করবে দল বিশেসে ফাইল করবে।’ পুজোর পর সব ব্লকে সভা করবেন বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এরা তো লুকিয়ে করছে সবকিছু। সোশ্যাল মিডিয়া নাকি বলে না! সেখানেই তো রাজনীতি করছে তারা। সংগঠন কোথায়? রাজনীতি করতে হলে মাঠে নেমে করুক।’
এছাড়াও এদিন অনুব্রত মণ্ডল জানান যে, আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসে ধর্মতলায় যাবেন। তিনি এই প্রসঙ্গে জানান যে, ‘আমি আগে থেকেই বলে রেখেছি যাব। শরীর খারাপ। হাঁটতে একটু কষ্ট হবে, শ্বাসকষ্ট আছে।’
আপনার মতামত লিখুন :