বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একই দিনে মেমারিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল তিনজনের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে মেমারী ১ নম্বর ব্লকের বড়ল গ্রামে। মৃতের নাম পদ হেমব্রম (৪৭)। জানা গিয়েছে, স্থানীয় পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। এরপর আচমকাই বজ্রপাত। আর তাতেই চরম পরিণতি ঘনিয়ে আসে পদের।
সোমবার পুকুরে স্নান করার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই বজ্রপাত হয়। হঠাৎ করে বাজ পড়ায় তিনি গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে মেমারিতে একই ঘটনা ঘটে। এদিন মেমারী ২ নম্বর ব্লকের বারোয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আশা সব্বার (৩৭) ও মালতি সব্বার মেমারির বোহার এলাকায় ধান রোয়ার কাজে বেরিয়েছিলেন। যাওয়ার পথে বজ্রপাতে জখম হন দুজনেই। তাঁদের উদ্ধার করে পাহাড়হাটী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই মেমারি থানার পুলিশের তৎপরতায় দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর শিরোনামে উঠে আসছে। দিন কয়েক আগে গলসীতে চাষের জন্য মাঠে যাওয়ার সময় বজ্রাঘাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল গলসী থানার অন্তর্গত অমরপুর গ্রামে। তাঁদের নাম রাজা রুইদাস (২২) ও শেখ সাইদুল (৩৪)। তাঁদের মধ্যে রাজা গলসীর মজিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। অন্যদিকে শেখ সাইদুলের বাড়ি ছিল গলসীর ইটারু গ্রামে।
এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। তাঁদের মধ্যে একজন ক্ষেতমজুর ছিলেন। নাম আজাদ শেখ (৫৮)। বিকেল বেলা মাঠে কাজ করার সময়ই বাজ পড়ে আহত হন তিনি। এরপর তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেদিনই ভিন রাজ্যের এক শ্রমিক বাজ পড়ে মারা যান। মৃতের নাম সন্তোষ মুর্মু (২৭)। তিনি ঝাড়খণ্ডের দুমকার বাসিন্দা ছিলেন। মেমারিতে মাঠের চাষের কাজ করবার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
আপনার মতামত লিখুন :