বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে গিয়েই বড় বিপত্তির মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। খাটে বসতে গিয়েই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সঙ্গে সঙ্গে পাঁজাকোলা করে তুলেলেন ঘরে থাকা বাকিরা। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর তেমন চোট লাগেনি বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির পরিষদীয় দল উত্তরবঙ্গে ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার বাড়িতে যায়। সেখানে নির্যাতিতার বাড়িতে ঢোকার পর, তাঁকে খাটে বসতে দেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বসতে গিয়েই খাট ভেঙে পড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তাতেই হইচই পড়ে যায়। ঘরে থাকা বাকিরা সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে ধরে তোলেন। এদিকে, ঘটনার আকস্মিকতায় ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে শুভেন্দু অধিকারীর।
এরপর নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমে পুলিশ গা-ছাড়া মনোভাব দিলেও পরে নড়েচড়ে বসেছে। সংবাদমাধ্যমে খবর দেখানো এবং আমাদের প্রতিবাদের পরে পুলিশ একটু নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু তাতেও কিছু করতে পারবে না। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, যদি অপরাধীদের জেলে থাকার সময় ট্রায়াল শুরু করতে হয় তাহলে সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। নাহলে ধর্ষকরা জেল থেকে বেরিয়ে ঘুরে বেড়াবে।’
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে গাফিলতি রয়েছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। কোর্টের তত্ত্বাবধানে করতে হবে তদন্ত। তবেই পাওয়া যাবে সুবিচার।’ এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন। এর পাশাপাশি পরেও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্যাতিতার পরিবারকে এই তিনি সিবিআই তদন্তের পরামর্শও দিয়েছনে বলেই খবর।
যদিও নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা আগেই জানিয়েছিলেন যে, পুলিশি তদন্তে তাঁদের ভরসা রয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে তাঁরা সরে আসেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনার তদন্তের তিনি পুরসভার কাউন্সিলরের সঙ্গে ময়নাগুড়ি থানায় যান অগ্রগতির বিষয়ে জানতে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট।
আপনার মতামত লিখুন :