দীপাবলিতে সুপার সাইক্লোন সিত্রাং-এর আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে ,ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়ের। এবার কত গতিবেগ নিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে তার একটা সম্ভাবনার কথা শোনালো হাওয়া অফিস। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রত্যেকটি জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঘন্টায় ৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে আছে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন। এর প্রভাব মূলত দেখা যাবে ওড়িশা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে। আগামী ২২ অক্টোবর শনিবার নাগাদ আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে ২৪ অক্টোবর আছে পড়বে এই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে।
হাওয়া অফিসের তরফে আরো জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই নিম্নচাপ ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে আগামী চার দিনে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। ২৫ অক্টোবর ওড়িশার উপকূল ঘেঁষে যাবে সিত্রাং। এরপর পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে ঢুকবে বাংলাদেশে।
ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী প্রমীলা মল্লিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ওই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এসপি এবং আপৎকালীন দপ্তরের কর্মীদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিপর্যয়কালীন পরিস্থিতিতে সকলে যেন তৎপর থাকে সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কর্মীদের। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের নবান্নের তরফেও সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন জেলার সচিব ও বিভাগীয় দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জানা গিয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সর্তকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, জল, ওষুধ মজুদ রাখা হচ্ছে আশ্রয়স্থলগুলিতে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :