বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মর্মান্তিক হত্যাকান্ড। ছেলের হাতে ‘খুন’ মা। ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর ভারখাণ্ডা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রুপালী প্রামাণিক। স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং ছোট্ট নাতনীকে নিয়েই রুপালী দেবীর সংসার। কিন্তু আচমকাই ঘনিয়ে আসে চরম পরিণতি। ছেলের হাতে খুন হতে হয় মাকে।
সেদিন ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, রুপালী দেবীর কাছে ছেলে রাজীব প্রামাণিক বেশ কিছু টাকা দাবী করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন রুপালী দেবী। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে ভারী কিছু জিনিস দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রূপালী প্রামাণিকের।
জানা গিয়েছে, রাজীব বিগত কয়েক বছর ধরেই মানসিক বিকারগ্রস্ত। এমনকি বেশ কয়েকবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেননি বলে দাবি পরিবারের। এদিনও মা তাঁর দাবি মেনে না নেওয়ায় মানসিক অসুস্থতার জেরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রাজীব। নিমেষের মধ্যে ভারী জিনিসের আঘাতে মাকে ‘খুন’ করেন তিনি। ঘটনার পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় রাজীবকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে আজ অর্থাৎ শনিবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত দিন ছয়েক আগেও বাঁকুড়ার ছাতনা থানার চন্ডীদাস পল্লীর বাসিন্দা বন্দনা মন্ডলকে খুন করার অভিযোগ ওঠে ছেলে সুমন্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে। হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে মাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ছাতনা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, সুমন্ত সিআইএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন। ১ বছর হল চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে মাকে খুন করেন সুমন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :