1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

ভয়াবহ দুর্ঘটনা! পূর্ব বর্ধমানে ডাম্পার-টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত একই পরিবারের ৪ সদস্য-সহ ৫ জন

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২২, ১১:০২ এএম

ভয়াবহ দুর্ঘটনা! পূর্ব বর্ধমানে ডাম্পার-টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত একই পরিবারের ৪ সদস্য-সহ ৫ জন
ভয়াবহ দুর্ঘটনা! পূর্ব বর্ধমানে ডাম্পার-টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত একই পরিবারের ৪ সদস্য-সহ ৫ জন / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল। টোটো এবং ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই দুর্ঘটনার জেরে একই পরিবারের ৪ সদস্য-সহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় টোটো চালকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের এনএইচ২বি- এর ঝিঁঝুটির কাছে চারুল আমতলা মোড় এলাকায়। 

এই দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই বউমা প্রতিদিনের মতোই তাঁদের পরিচিত টোটো করেই মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। মাছ ধরেই তাঁদের জীবিকা নির্বাহ হয় এবং সংসার চলে। এদিন যাওয়ার পথে, আচমকাই সামনে থেকে এসে ধাক্কা মারে পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার। পিষে দেয় টোটো চালক-সহ ৪ আরোহীকে। এমনটাই অভিযোগ। এদিকে, এই দুর্ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।  মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। যে পরিবারের ৪ জন মারা গিয়েছেন, তাঁরা হলেন, গঙ্গা সাঁতরা (৬০), মামণি সাঁতরা (৩২), সরস্বতী সাঁতরা (৫৯) এবং সীমা সাঁতরা (৩৫)। আর টোটো চালকের নাম মইনুদ্দিন শেখ। 

মৃত গঙ্গা ও সরস্বতী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অন্যদিকে, সীমা ও মামণি সাঁতরা তাঁদের পুত্রবধূ। এই চারজন দিঘিরপাড় পালিতপুরের বাসিন্দা। আর টোটো চালক সিজেপাড়ার বাসিন্দা মইনুদ্দিন শেখ। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই ভোর বেলায় মইনুদ্দিনের টোটো করে ওই চারজন নদীতে বা পুকুরে ঝিঁঝুটি তালিত সহ বিভিন্ন  এলাকায় মাছ ধরতে যেতেন। আজও তাঁরা একই কাজে বেরিয়েছিলেন প্রতিদিনের মতোই। পথেই ঘটে দুর্ঘটনা। অনুমান করা হচ্ছে যে, ডাম্পারের চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোর সামনে এসে ধাক্কা মারে।

এদিন দুর্ঘটনার পর প্রত্যেকেই উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে, কাউকেই বাঁচানো যায়নি। টোটো চালক মইনুদ্দিনের আত্মীয় সাবির জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ওই চারজনকে নিয়ে যেতেন মইনুদ্দিন। এদিনও ভোরে বেরিয়েছিলেন। তারপরই এই দুর্ঘটনা। মইনুদ্দিনের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

 

আরও পড়ুন