বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাও এর ব্যতিক্রম নয়। নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শুরু হয়েছে পথ অবরোধ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি হয়েছে ইতিমধ্যেই নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।
হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় হাওড়ার পাঁচলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত হাওড়া এলাকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানে যেতে চেয়েও গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই আভে রবিবার অর্থাৎ আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাওড়ায় যাওয়ার কথা। কিন্তু ‘হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় যাবেন না।’ এই মর্মে তাঁকে চিঠি পাঠাল কাঁথি থানা। কাজেই শুভেন্দু অধিকারী আদৌ সেখানে যেতে পারবেন কিনা, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর কর্মসূচী বাতিলের জন্য নোটিস দিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশও। পুলিশের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা গিয়েছে, এদিন গ্রামীণ হাওড়া এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার জন্য আদালতের নির্দেশ রয়েছে। সেই জন্যই এই মুহূর্তে তাঁকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। তাও সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় শুভেন্দু অধিকারী। তেমনটাই খবর।
এদিন ময়নায় অশোক দিন্দার বাড়িতে পৌঁছন তিনি। সেখানে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, তারপর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। কলকাতায় তাঁর কর্মসূচী রয়েছে। কলকাতা আসার পথেই তাঁর হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা হয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। বিরোধী দলনেতার উলুবেড়িয়া যাওয়ার কথা ছিল। এখন পুলিশের চিঠি পাওয়ার পর এখন তিনি কী করবেন সেটাই দেখার। এদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই হিংসার ঘটনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেই দুষছেন।
প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত হাওড়ার পরিস্থিতি। উত্তেজনা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে জেলায়। অশান্তি চলাকালীন উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিজেপির কার্যালয়। পাশাপাশি, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ জনের বেশি জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :