বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে জেলে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তৃণমূলের তরফে। এবার ক্ষমতা কমল অনুব্রত মণ্ডলের। আর অনুব্রত নয়, বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকার দায়িত্বে নতুন মুখ। এই তিন বিধানসভা এলাকা দেখবে জেলা নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকেই পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে এমন নির্দেশ দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকালের এই বৈঠকে অভিষেকের পাশাপাশি ছিলেন সুব্রত বক্সিও। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মিলিত এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রসঙ্গে জেলা নেতৃত্বের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষ তাঁদের নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। বিরোধীদের মনোনয়নে কোনরকম বাধা নয়। এর পাশাপাশি দলে সমন্বয় নিয়েও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বার্তা দিয়েছেন বলেও খবর। কড়া ভাবে বলা হয়েছে, দল বড় হয়েছে। দলকে অস্বস্তিতে ফেলবে এমন কোনও কাজ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবারের দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে প্রধানত সাংগঠনিক এলাকা ধরে ধরে বার্তা দিয়েছেন সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি বিধানসভা এলাকা ধরে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বোলপুর লোকসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব এবার থেকে সামলাবেন এই সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বই। এই দায়িত্ব এতদিন পর্যন্ত সামলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এই মুহূর্তে অনুব্রত জেলে থাকায়, দায়িত্বে নতুন কাউকে আনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাই দল যেখানে সাংগঠনিক জেলা ইতিমধ্যেই ভাগ করে দিয়েছে, সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি এলাকার দায়িত্ব অন্য এলাকার নেতৃত্বের হাতে রাখতে চাইছে না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এর পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক যে, দল বড় হয়েছে। সকলকে নিয়ে, সমন্বয় বজায় রেখে একসঙ্গে চলতে হবে। দল অস্বস্তিতে পড়বে এমন কোনও কাজ করা যাবে না। এর সঙ্গে কথাও কোনও সমস্যা হলেই, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে অবগত করার কথাও বলেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর আশ্বাস, প্রয়োজনমতো তিনিই বোঝাপড়া করবেন। এখানেই শেষ নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রেখে কাজ করার কথাও তিনি বারবার বলেছেন।
সামনে আরও বড় লড়াই, ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রেখেই সাংগঠনিক দিক থেকে দলকে এখন থেকেই তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগের নির্বাচনগুলির ক্ষেত্রে মনোনয়নে বাধা দেওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। গতকালের বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়টি মাথায় রেখে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ যেন আর না ওঠে। মানুষকে তাঁর ভোট দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :