বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নানুরকাণ্ডে এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নানুরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়। আদৌ নাকি গণধর্ষণ হয়নি। সম্পূর্ণটাই নাকি বানানো একটা গল্প। নানুর কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল এমনই তথ্য। রবিবারই সকালেই বীরভূমের নানুরে এক নাবালিকা ছাত্রীকে চার যুবক গণধর্ষণ করেছে বলেই জানা গিয়েছিল।
শনিবার বিকালে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মেলা দেখতে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। এরপর সারারাত সে বাড়ি ফেরেনি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল বলেই জানিয়েছিল তার পরিবারের সদস্যরা। পরে রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে ওই নাবালিকা জানায় যে, বীরভূমের কীর্ণাহারে মেলা থেকে ফেরার পথে চার যুবক তাকে গ্যাস দিয়ে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ করে। তার পোশাকে রক্তের দাগ ছিল বলেও জানিয়েছে পরিবার। এরপর বাড়ি ফিরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী।
এই পরেই গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে আসল ঘটনা সামনে আসে। নিজেই আসল ঘটনার কথা স্বীকার করে ওই ছাত্রী। কাঁদতে কাঁদতে সে জানায়, তার সঙ্গে আদৌ কোনও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। আসলে সে সারারাত এক বন্ধুর পিসির বাড়িতে কাটিয়েছিল। বাড়ি ফিরলে বাবার বকুনি খেতে হবে, বুঝতে পেরেই বকুনির হাত থেকে বাঁচতেই গণধর্ষণের গল্প ফেঁদেছিল সে। এদিকে, নাবালিকার কীর্তিতে হতবাক খোদ ম্যাজিস্ট্রেট থেকে শুরু করে পুলিশ সবাই। এই ঘটনা জানাজানি হতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মেয়েটি ওইদিন রাতে বন্ধুর সঙ্গে তারই বাড়িতে ছিল। সেখান থেকেই পরদিন সকালে মেয়েটি বাড়ি ফেরে, আর এরপরই তার মা তাকে বকাবকি শুরু করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেয়েটির বন্ধু এবং তার পিসিকে আটককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে, এই গোটা ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, ওই ছাত্রীর মা টুনু দাস জানিয়েছেন যে, ‘মেয়ে প্রথমে বাবার ভয়ে ধর্ষণের গল্প ফেঁদেছিল। তবে ও রাতে ওর বন্ধু দ্বীপের সঙ্গে তারই পিসির বাড়িতেই ছিল বলে আমায় জানিয়েছে।’ মেয়েরটির বাবা নকুল দাস জানান, ‘প্রথমে আমাদের ধর্ষণ বলা হয়েছিল, পরে দ্বীপ বলে ওই ছেলেটি স্বীকার করে নেয় আমার মেয়ে ওদের বাড়িতেই ছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :