বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন গাড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু সেই গাড়ির কিস্তির টাকা মেটানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। একমাসের কিস্তি বাকি পড়েছিল। চেক বাউন্স করে। আর তা নিয়েই গাড়ির শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসার সূত্রপাত। যা শেষপর্যন্ত চরম পরিণতি ডেকে আনল ক্রেতা এক যুবকের জীবনে। যা কল্পনাও করেননি ওই যুবক বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যু হল ওই যুবকের। গাড়ির শোরুম থেকেই উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নৈহাটিতে।
এই ঘটনা শোরুম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বচসার পর ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। যদিও মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসাতের ছোট জাগুলিয়ার বাসিন্দা বছর ৩২-এর সাদ্দাম হোসেন এক নামী কোম্পানির গাড়ি কিনেছিলেন নৈহাটির একটি শোরুম থেকে। একটি ফাইনান্স সংস্থার মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কেনেন। লোনের কিস্তি বাবদ সাদ্দাম ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন মৃত সাদ্দাম। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে বলে দাবি করেছে শোরুম কর্তৃপক্ষ। এরপরই তারা সাদ্দামকে ডেকে পাঠায় শোরুমে।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই শোরুমে যান সাদ্দাম। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিল না। তাঁর পরিবারের দাবি, সেখান থেকে সাদ্দাম তাঁর বাড়ি এবং বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। তাতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও ফোনে জানান। তিনি ফোনে বাড়ির লোকেদের বলেছিলেন যে, দ্রুত টাকার ব্যবস্থা করে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। তা না হলেও তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও তিনি ফোনে দাবি করেছিলেন।
এরপর সাদ্দামের বন্ধুরা এবং বাড়ির লোক ওই গাড়ির শোরুমে গেলে, তাঁদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলেননি শোরুম কর্তৃপক্ষ। সাদ্দাম কোথায়, তাও জানায়নি। এরপরই সাদ্দামের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সাদ্দামের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই খবর। পাশাপাশি শোরুম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়াও মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :