নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ দুপুরের প্রখর রোদ আর গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে, চার বন্ধু মিলে বাইকে করে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিলেন। এই চারজনের মধ্যে দু’জন আবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আর বাকি দুইজন স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, দুজন আগে নামবে স্নানে, সেই ভিডিও করবে বাকি দু’জন এবং তা আপলোড করবে ইউটিউবে। তেমনটাই হয়েছিল। স্নান, ভিডিও সবই হয়েছে। কিন্তু তারপরই ঘটল চরম বিপদ। স্নান করতে নেমে চারজনেই তলিয়ে যায় গঙ্গায়। যদিও কোনওরকমে দুজন গঙ্গার পাড়ে আসতে পারলেও, বাকি দুজন পারেননি। সেই দু’জন এখনও নিখোঁজ। ডুবুরি নামিয়ে গঙ্গায় তল্লাশি চালানো হলেও, এখনও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। এদিকে, এই ঘটনার জেরে নদিয়ার শান্তিপুরের স্টিমারে ঘাটের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া দুই যুবকের নাম আকাশ সরকার, ও রোহন বিশ্বাস। এঁদের দুজনেরই বয়স ১৮ বছর। প্রত্যক্ষদর্শী দুই বন্ধু সায়ন বিশ্বাস এবং অমিয় সরকার জানিয়েছেন যে, তলিয়ে যাওয়া দুইজনই এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁরা শান্তিপুরের বাগচির বাগানের বাসিন্দা। এদিকে, এই ঘটনার কথা জানার পরই ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। কীভাবে ঘটল পুরো ঘটনা, তা জানার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে, ওই ঘাটের সংলগ্ন প্রতিবেশীদের দাবি, এই গঙ্গার ঘাটে প্রায়শই তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গঙ্গার স্নান করার ঘাটটির পরিকাঠামো ঠিকঠাক না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। গঙ্গার ঘাট থেকে স্নান করতে নামতেই বড় বড় গর্ত রয়েছে, অনেকেই সাতার জানেন না, কিন্তু স্নান করতে নেবে ওই গর্তের কারণে ঘটে দুর্ঘটনা।
অন্য দুই বন্ধু জানিয়েছেন, আকাশ এবং রোহন আগে গঙ্গায় স্নান করেন। সেই সময় তাঁদের স্নানের ভিদিও তোলেন সায়ন ও অমিয়। এরপর তাঁরাও জলে নামেন। তবে, তাঁরা কেউই সাঁতার জানতেন না। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সায়ন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা চার বন্ধু মোটরবাইক চেপে গঙ্গার ঘাটে আসি। স্নান করতে নেমেছিলাম। ভেবেছিলাম ভিডিও করব। করা হয়েছিল। আমরা কেউই সাঁতার জানি না। চোখের সামনে দিয়ে আমার দুই বন্ধু তলিয়ে গেল। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
আপনার মতামত লিখুন :