নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ পুত্রবধূ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। শাশুড়ির অপরাধ ছিল, তিনি সেই অবৈধ সম্পর্ক সম্বন্ধে জেনে গিয়েছিলেন। এই অপরাধের বড় মাশুল চোকাতে হল তাঁকে। ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনা। হাঁসখালি থানায় একটি মামলা করেন বিপুল বিশ্বাস। তিনি অভিযোগে জানান যে, তাঁর মা বীণাপাণি বিশ্বাসকে খুন করেছে তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী অসীমা বিশ্বাস ও তার প্রেমিকা দেবাশীষ ওরাও।
এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, অসীমা বিশ্বাসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল দেবাশীষ ওরাওয়ের। তাদের এই সম্পর্কের কথাই জেনে ফেলেছিলেন অসীমার শাশুড়ি। তিনি বারবার এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলতেন পুত্রবধুকে। তখন তারা পরিকল্পনা করে যে, শাশুড়িকে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। সেইমতো ভারি জিনিস দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করে বীণাপাণি দেবীকে খুন করে অসীমা। মাথায় আঘাত করার পরেও তাঁকে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। পরের দিনই মৃত্যু হয় বীণাপাণি দেবীর।
এই খুনের ঘটনায় অসীমার প্রেমিক দেবাশীষের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল বলে স্থানীয়দেরও অভিমত। এরপর হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে অসীমা ও দেবাশীষকে গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে এই দুজনের নামে চার্জশিট দেয়। বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রানাঘাট মহকুমা আদালত এই দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার আদালত অসীমা বিশ্বাস ও দেবাশীষ ওরাওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। এদিকে, আদালতের এই রায়ে খুশি মৃত বীণাপাণি দেবীর আত্মীয়-পরিজনেরা।
আপনার মতামত লিখুন :