বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মতুয়াদের বারুণী মেলায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, যোগ দেওয়া হল না রাজ্যপালের। যদিও তিনি মতুয়াদের মেলায় যাবেন বলে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথ থেকে তাঁকে ফিরে আসতে হল। কারণ ঠাকুরনগর যাওয়ার পথে গাড়িতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর জন্যই রাজ্যপালের কনভয় ঘুরিয়ে তাঁকে রাজভবনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে, এই খবর শোনার পর, রাজভবনে ফোন করে রাজ্যপালের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মতুয়াদের বারুণী মেলাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে বিশাল আয়োজন করা হয়। সেই মেলায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের। সেই কারণে মেলাপ্রাঙ্গন এবং ঠাকুরবাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু তারপরেও সেখানে যেতে পারলেন না রাজ্যপাল।
এদিকে, সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে রাজভবনে ফিরিয়ে আনার পরই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিকভাবে রাজভবনেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রাজভবনের বাইরে থেকে একজন চিকিৎসককে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাজ্যপালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তবে, রাজ্যপালের ঠিক কী হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। পাশাপাশি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কেও এখনও কিছু জানা যায়নি।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জানা গিয়েছে যে, জগদীপ ধনকড়ের বদহজমের সমস্যা হয়েছে। বেশ কয়েকবার বমিও হয়েছে। গাড়িতেই বমি হয় তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের অসুস্থতার খবর পেয়েই ফোন করে রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি থেকে না যায়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, রাজ্যপালের অসুস্থতার খবর প্রসঙ্গে মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সড়কপথে ঠাকুরনগরে আসছিলেন। অনেকটা রাস্তা তিনি এসেও গিয়েছিলেন। এরপরই অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। রাজ্যপালের আধিকারিক সরাসরি ফোন করেন শান্তনুকে। তিনিই জানান যে, রাজ্যপাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে ঠাকুরনগরের বারুণী মেলায় যোগদান করা সম্ভব নয়। রাজ্যপাল ফিরে যাচ্ছেন। এরই খবর পাওয়ার পর, শান্তনু ঠাকুর নিজে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু ওই আধিকারিক তাঁকে জানান যে, এই মুহূর্তে রাজ্যপাল কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
আপনার মতামত লিখুন :