বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। রাজ্যে ঘটা সাম্প্রতিকের এইসব ধর্ষণকাণ্ডগুলিকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ড। এবার হাঁসিখালিকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এদিকে, মঙ্গলবারই এই ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য যখন এই ধর্ষণকাণ্ড এবং দেহ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে তোলপাড়, ঠিক সেই সময় যেকোনো কারণেই হোক চুপ ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার তাঁরা মুখ খুললেন। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতেন।
চলতি মাসের ৫ তারিখ, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর থেকেই স্বাভাবিকভাবেই শোকগ্রস্ত পরিবার। এরপর নানা চাপ, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ ইত্যাদি নানা বিষয়ের ধকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নাবালিকার বাবা-মা। এদিনও তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার মায়ের জ্বর। তিনি কোথাও বলতে পারছেন না। এই ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কথা শোনার পরই, খুশি নির্যাতিতার বাব-মা। তাঁরা এবার আশা করছেন যে, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তাঁরা জানিয়েছেন, যারা তাঁর নাবালিকা কন্যার উপরে অত্যাচার করেছে, তাঁদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই বুধবার অর্থাৎ আজই হাঁসখালিতে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দুপুরের মধ্যেই মামলা দায়ের করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এরপরই হাঁসখালিতে যাবে সিবিআই-এর টিম। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের জন্য আলাদা দল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রথমে তদন্তকারীরা থানায় যাবেন। সেখানে তাঁরা এই ধর্ষণকাণ্ডের কেস ডায়রি নিজেদের হাতে নেবেন। তারপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি এবং যে বাড়িতে ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি ঘুরে দেখবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, অভিযুক্ত শাসকদলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে। কেস ডায়েরি থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বেশকিছু গুরুতর ত্রুটির জন্য তদন্ত বাধা পেয়েছে।’ গতকাল মামলার সমস্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতেও রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এখনও পর্যন্ত হাঁসখালিকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :