বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিতর্কের শেষ নেই। তাও হাজারও বিতর্কের মাঝেই প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলচ্চিত্রটি। মঙ্গলবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ প্রচুর বিজেপি বিধায়ক একসঙ্গে এই সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলেন। এবার বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মুখেও এই সিনেমার প্রশাংসা শোনা গেল। এদিকে, বিরোধীরা অবশ্য এই চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট নিয়ে সুর চড়িয়েছেন।
এদিন নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে, “আপনাদের অনেকের মতোই আমিও কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সকলের দেখা উচিত। সঠিক ও সত্য এবং বহু অজানা ঘটনা তুলে আনতে চেয়েছে এই ছবিটি। সকলের উচিত সিনেমাটি একবার অন্তত দেখা। আমি ওই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ছিলাম। কাশ্মীরেও গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি দেখেছি। সঠিক ঘটনাই দেখানো হয়েছে সিনেমায়। সকলের দেখা উচিত। কী অবস্থায় কাশ্মীর ছিল, তা এই সিনেমার মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারবেন। সুন্দর এই প্রচেষ্টার জন্য কুর্নিশ।” এই বক্তব্য তিনি টুইট করেন।
অন্যদিকে, এদিন বাগডোগরা দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল রাজ্যে সম্প্রতি দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনাতেও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ রাজ্যে ভোট হলেও কোথাও খুনখারাপি হয়নি। এ রাজ্যের মানুষ চায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকুক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমার কাছে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে। আমি চাই রাজ্যে আইনের শাসন বজায় থাকুক।’ তাঁর কথায়, ‘এই রাজ্যে এতো হিংসা কেন? মানুষ এই হিংসা চায় না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটিকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এই সিনেমার প্রশংসা করেছেন। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই সিনেমাকে কেন্দ্র করে বড় ঘোষণা করে অসম সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন বিশ্ব শর্মা টুইট করে জানিয়েছেন যে, যদিও কোনও সরকারি কর্মী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে চান, তাহলে সেই কর্মীকে অর্ধদিবস ছুটি দেওয়া হবে। আর এই জন্য আগাম আবেদনের কোনও প্রয়োজন নেই, শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে এবং পরের দিন টিকিট জমা দিলেই হবে।
আপনার মতামত লিখুন :