বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে ঢোকার সময় তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে তাঁরই বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। আদতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই মৃত ছাত্রনেতার পরিবারেরে সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই লক্ষ্যে সফল হলেন না মন্ত্রী।
আমতায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ফিরহাদ। এর জেরে আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয় মন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আমতার সারদা গ্রামে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ফিরহাদ হাকিমের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। মন্ত্রীর দেহরক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কোনও লাভ হয়নি। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে যায় পুলিশ। ভিড় সরিয়ে মন্ত্রী গাড়ি আবার এগোনোর চেষ্টা করলে, ফের বাধা পায়। এরপর গাড়ি থেকে নেম ফিরহাদ হাকিম বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শুনতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী ছিলেন না।
উল্লেখ্য, আজ ধর্মীয় রীতি মেনে নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পারলৌকিক কাজ চলছিল। মুসলিম ধর্মগুরুরা এদিন গ্রামে গিয়েছিলেন। এদিন সতীর্থ পুলক রায়কে নিয়ে আনিসের বাড়িতে রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখে তাঁকে গিরে চলে গো ব্যাক স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের মূল বক্তব্য ছিল, আনিস খানের মৃত্যুর ৪২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত দোষীরা ধরা পড়ল না। এতদিনে ওঁর মনে পড়ল! পাশাপাশি তাঁদের আরও বক্তব্য ছিল, কোনও রাজনীতি, সহানুভূতি চান না তাঁরা, বিচার চান তাঁরা।
এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে আনিসের দাদা জানিয়েছে, ‘আমরা জানি না ঠিক কী হয়েছে। ভাইয়ের কাজ চলছিল। আমাদের ধর্মগুরুরা এসেছিলেন।’ আর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, যারা আজ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বহিরাগত। অন্যদিকে, আজই আনিস খানের বাড়িতে যান ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও।
আপনার মতামত লিখুন :