বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ফের বাজল ভোটের বাজনা। আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ এপ্রিল। আবার ওই একই দিনে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও রয়েছে উপনির্বাচন। আর ভোট গণনা রয়েছে ১৬ এপ্রিল।
এই দুই কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৪ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ। উল্লেখ্য, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ফের ভোট হবে। পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফা দেওয়ায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ফের ভোট হবে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের এক লোকসভা এবং এক বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়াও ১২ এপ্রিল ছত্তীসগঢ়ের খৈড়াগঢ় বিধানসভা কেন্দ্র, বিহারের বোচাহান বিধানসভা কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্রের কোলাপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রেরও উপনির্বাচন রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ৭৫ বছর বয়সে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে তিনি ভোটে জিতেছিলেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী হন তিনি। এরপরই তাঁর অসুস্থতা এবং তিনি প্রয়াত হন। সেই কারণে, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।
অন্যদিকে, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে জয়ী হন বাবুল সুপ্রিয়। মোদীর মন্ত্রী সভার সদস্যও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি মোদীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় বাবুলকে। এরপরই তিনি বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। পাশাপাশি সাংসদ পদও ত্যাগ করেন। এর জেরে আসানসোল কেন্দ্রটি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে। তাই এবার ১২ এপ্রিল এই আসনে ভোট হবে জন প্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ইভিএম ছাড়াও ভিভিপ্যাটও ব্যবহার করা হবে। উপনির্বাচন যাতে ঠিকমতো হয় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রেখেছে কমিশন। দেশে এই মুহূর্তে করোনা গ্রাফ স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছে। তাও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন। তাই উপনির্বাচনে করোনাবিধি মানার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। কমিশন। শারীরিক দূরত্ববিধি মানার পাশাপাশি, মাস্ক, ফেস শিল্ড ও স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে যে, যদি কোনও প্রার্থী বা কোনও দল কমিশনের গাইডলাইন না মানেন, তাহলে তাহলে ওই প্রার্থী বা দলকে আর কোনও সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও কোনও তারকা প্রচারক যদি করোনা বিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে তাঁকেও প্রচার করতে দেওয়া হবে না উক্ত লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে।
আপনার মতামত লিখুন :