বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত টানা ৫ দিন ধরে একটা মানুষের খনও খোঁজ নেই। অথচ কেউ টেরই পেল না যে, কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে। হাবড়ায় এদিন এক বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগণার হাবরা থানার হাটথুবার দাস পাড়ায় উদ্ধার হয়েছে সত্যরঞ্জন ডে নামে ওয়েক বৃদ্ধের পচা-গলা দেহ। এদিন ওই মৃত বৃদ্ধর ঘরে কুকুর ঢুকছে দেখে এক প্রতিবেশী তাঁর ঘরে ঢুকে দেখেন, খাটের নিচে পরে রয়েছে বৃদ্ধের মৃতদেহ। অত্যাধিক দুর্গন্ধ বের হচ্ছে দেহ থেকে এবং শরীর বিকৃত হওয়ায় চেনাই যাচ্ছে না ওই বৃদ্ধকে।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন সত্যরঞ্জনবাবু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। এরপর আর তাঁর দেখা মেলেনি। এবার এদিন উদ্ধার হল তাঁর পচাগলা দেহ। এদিকে, জানা গিয়েছে, সত্যরঞ্জন বাবুর ছেলে পুলিশে চাকরি করেন। তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত। নতুন বাড়ি করে স্ত্রীর সঙ্গে পাশেই থাকেন তিনি। তবে, সত্যরঞ্জনবাবুর ছেলে এবং পুত্রবধূ কেউই তাঁর কোনও খোঁজ রাখতেন না বলেই খবর।
স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মাঝেমধ্যেই পারিবারিক ঝামেলা হত বাবা এবং ছেলের মধ্যে। এমনকি বৃদ্ধ বাবাকে ধরে মারধরও করতেন ছেলে, এমনটাও দেখেছেন প্রতিবেশীরা। বুধবার সকালেও বাইকে করে ছেলেকে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। এমনটাই তাঁরা দাবি করেছেন। পাশাপাশি এই ক’দিন তাঁরা সত্যরঞ্জন বাবুর কোনও ঝজ করেননি। খোঁজ করলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা না হলে, মৃতদেহ পচে দুর্গন্ধ বের হতো না। এমনটাই বলছেন প্রতিবেশীরা।
এদিন সকালে দুর্গন্ধ পাওয়ার পরই, থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে, স্থানীয়দের পাশাপাশি এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি রুমকি সরকার গুহ রায়। আবার বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এটা খুন না আত্মহত্যা নাকি কোনও অসুস্থতা থেকে এই মৃত্যু? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হাবড়া থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :