নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ ফের গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুরে। আজ নীল পুজো উপলক্ষে মাকে নিয়ে গঙ্গার ঘাটে স্নানে গিয়েছিলেন বছর ২৪ এর যুবক সৌভিক দত্ত। একবারের জন্যই ওই যুবক বা তাঁর মা কল্পনাও করতে পারেননি, কতো বড় বিপদ ঘটতে চলেছেন কিছু সময়ের মধ্যেই। স্নান করতে নেমে এদিন মুহূর্তের মধ্যেই তলিয়ে যান সৌভিক। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি।
সৌভিক বাবা-মার একমাত্র সন্তান। বাবার নাম ষষ্ঠী চরণ দত্ত। স্নাতক স্তরের পড়া শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছিলেন সৌভিক। সেইসঙ্গে বাবার মুদি দোকানেও সহযোগিতা করতেন। আজ নীল পুজো উপলক্ষে মাকে নিয়ে বড়বাজার গঙ্গার ঘাটে গঙ্গাস্নানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাটে মহিলাদের ভিড় থাকায়, সৌভিক ঘাটেরই এক পাশ থেকে গঙ্গায় নামেন। এরপরই চোখের নিমিষেই তলিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, তাঁরা সৌভিককে বাঁচাতে সক্ষম হননি।
এদিকে, এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র দু’দিন আগেই দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে একইভাবে। ফের একবার এদিন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এদিকে, এই ঘটনার পর, ঘাটে স্নান করতে আসা মানুষজন প্রশ্ন তুলছেন, গভীর ও অগভীর বিষয় নিয়ে শান্তিপুর পৌরসভা এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যরিকেড এবং কোনরকম সতর্কতামূলক নির্দেশ না থাকা নিয়ে।
তবে, এ প্রসঙ্গে পুর-প্রশাসক সুব্রত ঘোষ মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন যে, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন যে, ‘দু’জন ছাত্রের মৃত্যুর পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়ার। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। তবে, এর মধ্যেই আজ ফের দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, তা অনভিপ্রেত। আগামী চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে এই ঘাটে, তার আগেই আজকের মধ্যেই ব্যারিকেড দেওয়া হবে। প্রশাসনকে জানিয়েছি ঘাটে গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখতে।’
আপনার মতামত লিখুন :