বন্ধ ঘর থেকে ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ। দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হল মহিলা সহ দুই শিশুর মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। প্রতিবেশীদের অনুমান, দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রিজিয়া সর্দার নামে ওই গৃহবধূ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলতুলির ৮ নম্বর গরানহাটির নিমতলার বাসিন্দা রিজিয়ার স্বামী কাজের সূত্রে থাকেন হাওড়ায়। শ্বশুর থাকেন আন্দামানে। দম্পতির দুই শিশু সন্তান ও ৯ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে শিশু সন্তান দুটিকে নিয়ে একাই থাকতেন রিজিয়া। পাশেই পিসির বাড়িতে দিদার সঙ্গে থাকত মেয়ে। এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে রিজিয়া ও শিশুদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বেলা গড়াতেই এরপর সন্দেহ জাগে শাশুড়ির মনে। এরপর ডাকাডাকি শুরু করতেই দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
শেষপর্যন্ত প্রতিবেশীদের খবর দেন রিজিয়ার শাশুড়ি। এরপর সকলে মিলে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ। প্রতিবেশীরা দেখেন মেঝেতে পড়ে রিজিয়া ও দুই শিশুর নিথর দেহ। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ ঘটনাস্থলে এসে দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এরপরই প্রশ্ন উঠছে তবে কি আত্মহত্যা করেছেন রিজিয়া? প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান তা-ই। তাঁদের দাবি, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তা জানা যায়নি। পুলিশের তরফে তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :