বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণ বাড়াতে শুরু করায় ফের উদ্বেগ দেখা দেয়। সম্প্রতি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ৩ হাজারের গণ্ডিও অতিক্রম করেছিল। তবে, কয়েকদিন ধরে রাজ্যের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী ছিল। আক্রান্তের সংখ্যা ফের অনেকটাই নেমে এসেছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তা প্রায় দেড় হাজার ছুঁইছুঁই। বেশ কয়েকদিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের নিচেই ছিল।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৫ জন। গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ফের সামান্য বেড়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৩ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২০ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৮৩ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১০.৪২ শতাংশে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টাতে করোনায় রাজ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৩৪৬ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ হাজার ৪৩৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.০৬ শতাংশ।
এদিকে, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বা অ্যাকটিভ কেস। যদিও গত কয়েকদিন ধরে তা নিম্নমুখী। যা যথেষ্ট স্বস্তির। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭১ জন। আর হাসপাতালে ভরতি ৪৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। রাজ্যে করোনার মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গতকালের থেকে কমে হয়েছে ১৯ হাজার ১৪৩ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২০ হাজার ৯৪ জন। করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৭ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৪১ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে মুম্বই, দিল্লিতে যেভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় রেখেছে। সেই সঙ্গে বাংলার করোনা পরিস্থিতিও চিন্তা বাড়াচ্ছে।
সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে কোভিড নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নতুন করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে ফের আগের মতো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফের মাস্ক, স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করতে হবে। এদিকে, টিকাকরণে নয়া রেকর্ড করেছে দেশ সম্প্রতি।
আপনার মতামত লিখুন :