অখিল গিরির মন্তব্যে এবার সরাসরি ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অখিল বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্ন থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন অখিল গিরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যদি কেউ এই ধরনের কাজ করে তার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে অখিলগিরির মন্তব্যের প্রসঙ্গে ক্ষমা চেয়ে বলেন, "আমরা রাষ্ট্রপতিকে সন্মান করি। হাইলি রেসপেক্টেড। অখিলের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। অখিল এটা অন্যায় করেছে। আমি কনডেম করছি। আমি এর জন্য লজ্জিত। আমি ক্ষমা চাইছি। অখিলকে দলের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এটা আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়। যদি ভবিষ্যতে আবার এই ধরনের কিছু হয়, তাহলে দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য, অখিলের এই মন্তব্য করা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে অখিল গিরি"।
এদিন অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে ও এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনে তাকে নিশানা করে তিনি বলেন, "ঝাড়গ্রামের মেয়ে। সাংস্কৃতিরক বাড়ির মেয়ে। আদিবাসী মেয়ে। তাঁকে যদি কেউ বলে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার মত! সেটা কি খুব রুচিকর? নাকি কাউকে দাঁড়কাকের মত দেখতে বলাটা রুচিকর?একতরফভাবে ভাষা আক্রমণ করছে বিজেপিও। কুৎসিত কথা বলছে"।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহীদ মঞ্চের একাংশ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পথে নেমেছিল তৃণমূল। সেখানে প্রতিবাদ সভাও করেন কুনাল ঘোষ, শশী পাঁজারা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করেন অখিল গিরি। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কে। তার রূপ নিয়ে কথা বলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। আর এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কারা মন্ত্রী দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী অখিল গিরিকে কটাক্ষ করে নাকি বলেছেন, "হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে।" এই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অখিলগিরি বলেন, "বলে দেখতে ভালো নয়, কি রূপসী? কি দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ার কে আমরা সম্মান করি কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা"?
আপনার মতামত লিখুন :