বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়ি থেকে কোনওভাবেই সম্পর্ক মানতে চায়নি। তার উপর বিয়ে! সেটা কোনোভাবেই মানা সম্ভব নয়। তাই একই দড়িতে আত্মঘাতী হল নাবালক যুগল। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।
এদিন নাবালক প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় চোপড়ায়। বাড়ি থেকে রাজি না হওয়ার কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাবালক যুগল। এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। গ্রামের পাশেই চা বাগান। সেই চা-বাগানের ভিতরই একটি গাছ থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চোপড়ার হফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের জিরো পানি গ্রামের বাসিন্দা নাবালক যুগল। দু’জনেই একে অপরের প্রতিবেশী। প্রায় একইসঙ্গে ছোট থেকে তাঁদের বেড়ে ওঠা। সেই থেকেই বন্ধুত্ব এবং একে অপরের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হওয়া। আর সেই ভালোলাগা থেকেই পরে জন্ম নেয় ভালোবাসা।
জানা গিয়েছে, মাত্র ৬-৭ মাস তাঁদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরেই ঘর বাঁধতে চেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু নাবালিকার পরিবার রাজি থাকলেও, নাবালকের পরিবারের সদস্যরা সেই বিয়েতে অরাজি ছিল। একসঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এবং থাকা সম্ভব নয় জেনেই, একসঙ্গে জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নাবালক-নাবালিকা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এদিন সকালে প্রথমে স্থানীয়রাই গ্রাম থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এক চা বাগানের মধ্যে গাছে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরই খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানায়। খবর পাওয়ার পর চোপড়া থানার পুলিশ গিয়ে ওই যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :