বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এবার সন্মার্গ কো অপারেটিভ চিটফান্ডের শিকড় কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে, তা বের করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এবার সিবিআই আধিকারিকেরা চিটফান্ড মামলায় হানা দিলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারির বাড়িতে। রবিবার সকাল সকাল বীজপুর বিধায়কের বাড়িতে যান।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় হালিশহর এবং বীজ পুরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরসভার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই- এর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে, হালিশহর ও বীজপুর মিলিয়ে মোট ছয়টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। উল্লেখ্য, এর আগে এই চিটফান্ড মামলায় হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টাকা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। শনিবারই তাঁকে কোর্টে তোলা হয়।
এদিন সিবিআই- এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বীজপুর বিধানসভার অন্তর্গত মোট ৬ টি জায়গায় এদিন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। এই তালিকায় সুবোধ অধিকারীর বাড়ি ছাড়াও রয়েছে কাচড়াপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়ি, কাচড়াপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর ঝুম্পা সিং-এর বাড়ি। এর বাইরে রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনের বাড়িতেও সিবিআই-এর আধিকারিকেরা তল্লাশি চালিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিটফান্ড কাণ্ডে ধৃত রাজু সাহানি রাজনৈতিক মহলে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সেই সূত্রেই এদিন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এমনকী, রাজু সাহানির গ্রেফতারির পর এক সাক্ষাৎকারে সুবোধ বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যম থেকে রাজু সাহানির গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়ে আমার কিছু জানার নেই। যা জেনেছি সংবাদমাধ্যমের থেকে জেনেছি। বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতে উঠলে বোঝা যাবে আসল বিষয়টি কী!’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ছাত্র পরিষদের সমাবেশের দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন আজ বক্তব্য রাখছেন, কাল হয়তো ভয় পেয়ে তাঁকে ডেকে পাঠাবেন। হলও ঠিক তাই। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়। চিটফান্ডের বিষয়টি কতটা সত্যি কথাটা মিথ্যে তা আদালত বলতে পারবে।’
এদিন সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই বলেন, ‘কারও সঙ্গে যদি ভাল সম্পর্ক থাকলে যে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় জানা থাকবে, এমনটা নয়। তিনি যদি শেয়ার করে থাকতেন, তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার থাকত। তাহলে আমরা সেই বিষয়ে বলতে পারতাম। এটি ওর নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এটি ২০১৪ সালের ঘটনা। এর সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।’
রাজু সাহানি প্রসঙ্গে বিধায়কের ভাই কমল অধিকারীর আরও বক্তব্য, ‘এটি আমরা জানতাম না। আমার নিজেরও খুব খারাপ লাগছে যে একজন শিক্ষিত, ভাল ছেলে এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। যে অভিযোগ ওর বিরুদ্ধে এসেছে, সেখানে সিবিআই সিবিআই-এর কাজ করতেই পারে।’
আপনার মতামত লিখুন :