বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একই পরিবারের তিনজনের একসঙ্গে রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল কাটোয়ায়। একই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বাবা-মা এবং তাঁদের মেয়ের নিথর দেহ। এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার অন্তর্গত পানুহাট বৈদ্যপাড়ায়। এই ঘটনার নেপথ্যে সাংসারিক অভাব-অনটন নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার অন্তর্গত বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা নঈম শেখ এবং তাঁর স্ত্রী। নঈম শেখ পেশায় গাড়িচালক। এই দম্পতির একটি বছর ১৪-র কন্যাসন্তান ছিল। নাম পিঙ্কি খাতুন। পিঙ্কি কথা বলতে পারত না। পিঙ্কি কাটোয়া রাজমহিষী দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। নঈমরা ছয় ভাই। সবাই আলাদা থাকতেন।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল দশটা বেজে গেলেও, ওই পরিবারের কারও সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনরা। পরে সন্দেহ হওয়ায় ডাকাডাকি করে। কিন্তু সাড়া না পেয়ে শেষে দরজা ভেঙে ঘোরে ঢোকেন তাঁরা। ঘরে ঢুকেই তাঁরা দেখতে পান যে, সিলিং থেকে ঝুলছেন নঈম। মেঝেতে পড়ে তাঁর স্ত্রীর দেহ এবং বিছানায় মেয়ে পিঙ্কির নিথর দেহ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় গাড়িচালক নঈম শেখ। এই নঈম তাঁর পরিবারের ছয় ভাইয়ের মধ্যে সকলের ছোট। এদিকে, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভাবের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে নঈম এবং তাঁর স্ত্রীর দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। তার জেরেই কি এই খুন? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এইসব প্রশ্নই উঠছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে, পরিবারের এও দাবি যে, সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে নইমের কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি তাঁদের। তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :