বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। যার মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এই দুর্নীতির জাল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলেই মনে করছেন এই মামলায় তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরেও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ এসেই চলেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা-কর্মী বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি? বিজেপির কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে, ফেরত দেওয়া হবে টাকা! এমনই পোস্টার দেওয়া হল বর্ধমান শহরে। এই বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ঠিক কী ঘটেছে? সম্প্রতি দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বর্ধমানে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শহরে বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা করেছিলেন তিনি। সেই সভায় বলেছিলেন সুকান্ত যে, ‘দলের জেলা কার্যালয়ের সামনেই ব্যানার টাঙিয়ে দিন, টাকা দিয়েও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। নাম গোপন রেখে টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।’ কিন্তু কীভাবে দেওয়া হবে সেই টাকা? জবাবে সেই পথও বাতলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি টাকা আদায় করতে, দলের কর্মীদের অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশও দিয়েছিলেন।
এদিন বর্ধমান শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি পোস্টার টাঙানো হয়। তাতে টাকা দিয়েও চাকরি পাননি যাঁরা, তাঁদের দলের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে, এই পোস্টার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই পোস্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘কারও এই ধরণের সমস্যা হলে, তাঁরা তো পুলিস-প্রশাসন কাছে যাবে। বিজেপির কার্যালয়ে কেন যাবে?’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক তৃণমূল নেতার উপরে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে গাছে বেঁধে মারধরও করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দিলীপ পাত্র। কিন্তু কেউ চাকরি পাননি। এরপর যখন টাকা ফেরত চান তাঁরা, তখন চেক দেন অভিযুক্ত। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে। এরকম একাধিক অভিযোগ সম্প্রতি সামনে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :