নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন এক ব্যক্তি। মদ্যপ অবস্থায় থানার সামনেই গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ডাব বিক্রেতা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিকে, আগুন লাগানোর পর ওই ব্যক্তির চিৎকারে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন পুলিশকর্মী ও আইসি নিজেও। গায়ে কম্বল জড়িয়ে ডাব বিক্রেতাকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু ততক্ষণে ওই ডাব বিক্রেতার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। আইসি নিজেই টোটো ডেকে ওই ডাব বিক্রেতাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ডাব বিক্রেতার নাম শিবু চক্রবর্তী। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, থানার উল্টোদিকে হাটখোলা। হাটখোলার পিছনেই বাড়ি অগ্নিদগ্ধ শিবুর। থানার সামনে ভ্যানে ডাব বিক্রি করেন তিনি। পাশেই আবার ছাতুর সরবত বিক্রি করেন তাঁর স্ত্রী ফুলন সাহা চক্রবর্তী। বাড়িতে এবং বাজারে তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এদিন আচমকাই শিবু আগুন ধরান নিজের গায়ে। এরপর ওই অবস্থাতেই গোটা হাটখোলায় আর্ত চিৎকার করে ছুটতে শুরু করেন তিনি। যন্ত্রণায় বাঁচাও বাঁচাও বলেও চিৎকার করতে থাকেন। তখনই থানা থেকে বেরিয়ে আসেন আইসি এবং তিনিই শিবুর গায়ে কম্বল জড়িয়ে আগুন নেভান।
এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাটখোলার কয়েকজন দোকানদার জানিয়েছেন, গায়ে আগুন ধরানোর পর শিবু যন্ত্রণায় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। আইসি এসে ওর গায়ে কম্বল জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে পাঠান। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। দাম্পত্য অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই অনুমান। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :