নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ প্রেমে প্রত্যাখ্যান! আর সেটাই মেনে নিতে পারল না ক্লাস এইটের নাবালিকা ছাত্রী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ওই ছাত্রী। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে মালদহের চাঁচলে। রবিবার সকালে চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নাবালিকা ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিকে, মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। মৃত নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। রবিবারই মৃত ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম বর্ষা দাস, বয়স ১৬ বছর। নাবালিকার বাড়ি চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহারপুরে। মৃত ওই ছাত্রী চাঁচলেরই একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রী। অভিযোগ উঠছে, ওই নাবালিকা কিশোরীর সঙ্গে গত ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দেবীগঞ্জের বাসিন্দা রূপচাঁদ রায় নামে এক বছর ২১-এর যুবকের।
জানা গিয়েছে, উভয়ের পরিবারই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল। সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে বলে জানা যায় এবং ছেলেটি ওই কিশোরীকে প্রত্যাখ্যান করে বলে পরিবারের দাবি। এর জেরেই অপমানে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা। এমনটাই অভিযোগ মৃত কিশোরীর পরিবারের। রবিবার খুব সকালে বাড়ির বারান্দায় মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, কিশোরীর বাবা অক্ষয় দাসের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সঙ্গে রূপচাঁদের গত ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথাও উঠছিল। কিন্তু মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় এবং ১৮ বছর সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ছেলেটিকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে আগে তাঁর মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে রূপচাঁদের সম্পর্ক তৈরি হয়। এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এরপর শনিবার রাতে রূপচাঁদ ওই মৃত কিশোরীকে একাধিকবার ফোনও করে। মৃত কিশোরীর পরিবারের অনুমান, ফোনে তাঁকে প্রত্যাখ্যানের কথা বলা হয়েছিল। সেটা মেনে নিতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী।
আপনার মতামত লিখুন :