বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বর্ষা প্রবেশ করার কথা। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার হেরফের ও আর্দ্রতাজনিত কারণে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যবাসীর। গরম থেকে বাঁচতে বর্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছে তারা। ইতিমধ্যেই কেরলে বর্ষা আগত। এরপর ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গবাসী কবে বর্ষার মুখ দেখবে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আগামী দু’দিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বর্ষা ঢুকবে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে? বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে আকাশের মুখ ভার। আংশিক মেঘলা আকাশের মাঝে রোদের আনাগোনাও লেগে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণবঙ্গের মানুষ এটাকে বর্ষা আগমনের পূর্বাভাস বলেই ধরে নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে খুব একটা সুখবর শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। প্রতিবছর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে সচরাচর বর্ষা প্রবেশ করে না। তাই মেঘলা আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও তা বর্ষার বৃষ্টি নয় বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন জেলা, মনিপুর মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে বৃহস্পতিবারই প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। আর এই মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে এসেছে বর্ষাও। মৌসুমী বায়ু আরও খানিকটা অগ্রসর হয়ে দু-তিন দিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য জেলাগুলিতেও প্রবেশ করবে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গও।
যদিও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সেটা তথাকথিত বর্ষার বৃষ্টি নয়। বরং বলা যেতে পারে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। এরপর পুরোপুরিভাবে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটলে দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ঠিক কবে নাগাদ বর্ষা প্রবেশ করতে পারে সেই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেয়নি মৌসম ভবন। তবে আগামী দু’দিন বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়ায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। এমনকি কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে অস্বস্তি খুব একটা কমবে না। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। আর্দ্রতাজনিত কারণে নাজেহাল হতে হবে রাজ্যবাসীকে।
তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আশা করা যাচ্ছে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে বর্ষার মুখ দেখতে পাবে বঙ্গবাসী। অন্যদিকে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশজুড়ে স্বাভাবিকের থেকে ৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আপনার মতামত লিখুন :