একচিলতে টিনের ঘরে বসেই মিসাইল আবিষ্কার করে তাক লাগালেন বাংলার এক গ্রাম্য যুবক। বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই মিসাইল আবিষ্কার করে ফেলেন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম আউলডাঙার বাসিন্দা অভিষেক সরকার। কলেজ পড়ুয়া এই যুবকের কৃতিত্বে এখন গর্বিত গোটা গ্রাম।
স্কুল জীবন থেকে বিজ্ঞানের নানান মডেল বানানোর দিক থেকে ঝোঁক ছিল অভিষেকের। ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্গতি। তাই মাধ্যমিকের পর কলা বিভাগকে সঙ্গী করেই এগিয়েছে শিক্ষা৷ কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা কিন্তু আজও অটুট। আর সেই ভালোবাসার টানেই মিসাইল আবিষ্কার করে ফেললেন অভিষেক।
অভিষেকের বাবা একজন সাধারণ কর্মকার। সামান্য আয় থেকে কোনও মতে টেনেটুনে চলে সংসার। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার কারণে ITI-তে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও সেখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ। ফলে বর্তমানে ইতিহাস নিয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন এই যুবক। আর পড়াশোনার ফাঁকেই আবিষ্কার করে ফেলেছেন আস্ত এই মিসাইল।
জানা গিয়েছে, নতুন মিসাইলটির নাম এ আর সিকিউরিটি ফায়ার সিস্টেম। লেজার রশ্মির মাধ্যমে কাজ করবে সেটি৷ অভিষেক জানান তাঁর তৈরি এই মিসাইলটিকে অন্য কোনও মিসাইল দ্বারা ঘায়েল করা যাবে না। কোনও বিদেশী মিসাইলই তাঁর মিসাইলের ক্ষতি করতে পারবে না। যুবকটির ইচ্ছে, দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তর দেশের সুরক্ষার খাতিরে এই মিসাইল ব্যবহার করুক। দেশের সীমান্তরক্ষায় যদি তাঁর মিসাইল কাজে লাগে তবেই অভিষেকের এই আবিষ্কার সার্থক হবে।
অভিষেকের এই কীর্তিতে আপ্লুত মা-বাবা ও পরিজনেরা। প্রত্যেকেই চান, এই কাজ নিয়েই জীবনে যাতে প্রতিষ্ঠা পায় অভিষেক। আর ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলেই যেমন তাঁদের আর্থিক ভাগ্যও খুলে যাবে, তেমনই ছেলেও সমাজে নিজস্ব এক পরিচয় তৈরি করতে পারবে। তাই ছেলের সাফল্য কামনায় দিনরাত প্রার্থনা করে চলেছে অভিষেকের পরিবার৷
আপনার মতামত লিখুন :