জনসাধারণের সুবিধার্থে রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা নেয় রাজ্যের সরকার। সাধারণ মানুষ যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারেন বা যান চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা পান, সেই কারণেই রাস্তা তৈরি শুরু হয়। যা তৈরির অন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি অর্থ খরচও হচ্ছে বলে খবর। কিন্তু সেই রাস্তারই এখন বেহাল দশা! হাত দিলেই উঠে আসছে পিচ। এমনই চিত্র তুলে ধরলেন স্থানীয় লোকজন।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের পিলভিট জেলার ভগবন্তপুর গ্রামের অসম্পূর্ণ এক রাস্তার বেহাল চিত্র তুলে ধরলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। গোটা ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর ভিডিও সামনে আসতেই রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, ভগবন্তপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার আওতায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা তৈরি করার কাজ চলছে। ওই রাস্তার মাধ্যমে পূরণপুর ও ভগবন্তপুর গ্রামের সংযোগ স্থাপন করা হতল। সেই রাস্তা তৈরিতেই আনুমানিক ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার কথা।
কিন্তু সম্প্রতি যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে, রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত পিচ হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে। খালি হাতেই রাস্তার পিচ সরিয়ে ফেলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারাও।
এই ভিডিও দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। নির্মীয়মাণ এই রাস্তা বেহাল অবস্থা ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য রাস্তা তৈরির ঠিকাদারকেই দায়ী করেছেন ভগবন্তপুর গ্রামের বাসিন্দারা। জনগনের টাকা থেকেই এই রাস্তা তৈরির জন্য ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই যে ঠিকাদারকে রাস্তা তৈরির টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রামীণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শৈলেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আনা হয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকার রাস্তার গুণমান পরীক্ষা করে চলেছেন এবং রাস্তা তৈরির দায়িত্বে যে সংস্থা ছিল, তাদের দ্রুত সঠিকভাবে রাস্তা নির্মাণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
আপনার মতামত লিখুন :