একেই বলে ভালোবাসা। প্রেমে পড়লে মানুষ কী-ই না করতে পারে! যে কোনও অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করে যায়! কথায় বলে, প্রেমের টানে সাত-সমুদ্র,তেরো নদী পার করাও অসম্ভব কিছু নয়। অতীতেও এমন বহু উদাহরণ রয়েছে!
এবার ঠিক তেমনটাই করলেন এক বিদেশিনী। ভারতের এক যুবককে ভালোবেসে সুদূর আমেরিকা থেকে পাড়ি দিলেন এই দেশে। আর এখানে এসে নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়েও করলেন। সেই কাহিনীই এখন ভাইরাল নেটমাধ্যমে।
সম্প্রতি ভারতীয় রীতি অনুযায়ী এক বিহারী তরুণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন জার্মান থেকে আগত এক তরুণী। জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম মার্থা। তিনি পোল্যান্ডের মেয়ে। তবে পড়াশোনার সূত্রে তিনি ও তাঁর পরিবার জার্মানিতে থাকতেন।
এদিকে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা চৈতন্য ঝা পিএইচডি করতে জার্মানিতে গিয়েছিলেন। সে সময়ই মার্থার সঙ্গে তার পরিচয়। মার্থাও তার সঙ্গে একই কলেজে পিএইচডি করছিলেন। কলেজে পড়ার সময়েই দু`জনে দু`জনের প্রেমে পড়েন৷ সে সময় চৈতন্যকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মার্থা। চৈতন্যও সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
এরপর দুজনেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং উভয় পরিবারই বিয়ের অনুমতি দেন। তারপর মার্থা জার্মানি থেকে পরিবার এবং আত্মীয় সহ বিয়ে করতে ভারতে আসেন। বিহারের রীতি-নিয়ম মেনেই এরপর বিয়ে হয় মার্থা-চৈতন্যর।
মার্থা এবং চৈতন্যর মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান রয়েছে। ঠিকঠাক হিন্দি বলতে পারেন না ওই তরুণী। তবে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হিন্দি শিখে নেবেন বলে চৈতন্যকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে বিহারে রীতিমতো চর্চা চলছে দু`জনের বিয়ে নিয়ে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়েও দারুণ ট্রেন্ডিং তাঁদের এই বিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :