চিকিৎসকের কাজই হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা। যখনই কেউ শারীরিক সমস্যায় পড়েন, চিকিৎসকেরই দ্বারস্থ হন। আর চিকিৎসকরাও যে কোনও মুহূর্তে, যে কোনও জায়গায় মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রস্তুত থাকেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করেন কীভাবে ফের সুস্থ হয়ে তোলা যায় মানুষটিকে। অনেক সময় চিকিৎসকদের হাতের ছোঁয়ায় মৃতপ্রায় মানুষও জীবন ফিরে পায়! ঠিক তেমনই এক ঘটনা ঘটল সম্প্রতি।
শপিংমলে আচমকাই হার্ট অ্যাটাকের শিকার ব্যক্তি। হয়তো মারাই যেতে পারতেন, কিন্তু `ত্রাতা` হয়ে উঠলেন এক চিকিৎসক। তাঁরই তৎপরতায় প্রাণ রক্ষা হল ওই ব্যক্তির। সিপিআর-এর মাধ্যমে ব্যক্তির জীবন ফিরিয়ে দিলেন ওই চিকিৎসক। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল বেঙ্গালুরুর এক শপিং স্টোর!
শপিং মলে নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করছিলেন ব্যক্তিটি। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল! আচমকাই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। আশেপাশের সকলই তা দেখে চমকে ওঠেন। বেশ কিছুজন রীতিমতো আতঙ্কিতও হয়ে পড়েন। কে কী করবেন কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারেননি ওই মুহূর্তে।
ঠিক সেই সময়ই এগিয়ে আসেন ওই চিকিৎসক। সৌভাগ্যবশত, তিনি সেদিন ওই স্টোরেই জিনিসপত্র কিনতে এসেছিলেন। আর সেই সময়ই ঘটে এই কাণ্ড! তা দেখে আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি চিকিৎসক। তৎপর হয়ে এগিয়ে এসে সিপিআর দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন মাটিয়ে লুটিয়ে পড়া ব্যক্তির। আর মিনিট দশেক চেষ্টার পর সফলও হন! মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন ব্যক্তিটি।
এদিকে গোটা ঘটনার একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে ঠিক কী ঘটেছিল তা বর্ণনা করে নেটমাধ্যমে সেই ভিডিও পোস্ট করেন চিকিৎসক-পুত্র। সেখানেই তুলে ধরেন বাবার সম্পূর্ণ কর্মকাণ্ড। সঙ্গে তিনি এও লেখেন, `আমার বাবা আজ একটি প্রাণ বাঁচিয়েছেন।`
স্বভাবতই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশংসায় উপচে পড়েছে নেটমহল। ওই চিকিৎসকের তৎপরতাকে স্যালুটও ঠুকেছেন অনেকেই। অনেকেই আবার বলেছেন, চিকিৎসকের কর্তব্য মানুষের জীবন রক্ষা। এই চিকিৎসকও কঠিন মুহূর্তে ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছেন। আর তাই তাঁর কর্তব্যের প্রতি এই দায়বদ্ধতাকে কুর্নিশও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও জানাতে ভোলেননি চিকিৎসককে।
আপনার মতামত লিখুন :