বর্তমানে সারা বিশ্বে ভারতীয় নারিশক্তির জয়জয়কার। শিক্ষা থেকে শিল্প, খেলার ময়দান থেকে বানিজ্য জগত বা রাজনীতির আঙিনা, কোনও খানেই আর পিছিয়ে নেই ভারতীয় নারীরা। তাই দেশমাতৃকাকে রক্ষা করার লড়াই থেকেই বা নারীরা পিছিয়ে থাকবেন কেন! ইদানীং তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সংখ্যাও সক্রিয়ভাবে বাড়ছে। পুরুষদের পাশাপাশিই নারীরাও নিচ্ছেন দেশরক্ষার অঙ্গীকার। এমনকি এর জন্য বিপজ্জনক কোনও ঝুঁকি নিতেও তাঁরা প্রস্তুত থাকছেন।
সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই এক নারীর কাহিনী। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা সেনা আধিকারিক, যাঁকে মোতায়েন করা হয়েছে সিয়াচেনে। ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হয় সিয়াচেন। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্রে হিসেবেও উঠে আসে সিয়াচেনের। যেখানে প্রবল ঠাণ্ডায় বরফে ডুবে দেশকে রক্ষার কঠিন লড়াই করেন জওয়ানরা। সেই সিয়াচেনেই এবার প্রথম কোনও মহিলা সেনা আধিকারিক হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানকে।
ক্যাপ্টেন শিবা সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা ভারতীয় সেনা আধিকারিক। কঠোর প্রশিক্ষণের পরে, ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানকে এখানে মোতায়েন করা হয়। ভারতীয় সেনার ‘সিয়াচেন ব্যাটেল স্কুল’ থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। তারপরই তাঁকে মোতায়েন করা হয় বিশ্বের সুউচ্চ পর্বতমালার এই যুদ্ধক্ষেত্রে। সিয়াচেনে প্রচণ্ড ঠান্ডা। তাপমাত্রা এখানে সবসময় মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রায় তিনহাজার সেনা জওয়ান সবসময় সিয়াচেনে মোতায়েন থাকে। হেলিকপ্টারে করে জওয়ানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে তাঁর প্রশিক্ষণের সময়ই তিনি নিজের দক্ষতা দেখিয়ে সকলের ত্থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণ দেন শিবা।
দেশে এক ঐতিহাসিক মাইলস্টোনে পা রাখেন ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান। সিয়াচেনে তিনমাসের জন্য মোতায়েন করা হল ভারতীয় সেনার এই সাহসী মহিলা আধিকারিককে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন শিব চৌহানের এই সাফল্যের কথা জানিয়েছেন।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘বহু ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে ক্যাপ্টেন শিবা নিজের অপ্রতিরোধ্য প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকে নিজের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। আর তাঁকে নিয়োগ করা হচ্ছে সিয়াচেন হিমবাহে।’ ভারতীয় সেনার এই মহিলা অফিসারকে তিন মাসের জন্য সিয়াচেনে মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :