পুরো নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)৷ কিন্তু তামাম ক্রিকেট বিশ্বের কাছে তিনি পরিচিত ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামে। ঠান্ডা মাথার, স্থিতধী মস্তিষ্কের অধিনায়কত্বের কাছে একসময় হার মেনেছিল বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ক্রিকেটার। তাঁর অধিনায়কত্বেই আইসিসির মুখ্য ৩ ট্রফি নিজেদের ক্যাবিনেটে পুরেছিল ভারতীয় দল। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে পেয়েছেন একের পর এক সাফল্য। ক্রিকেট খেলার জন্যই যেন জন্ম তাঁর!
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে ৭ জুলাই ১৯৮১ সালে জন্ম নেন ধোনি। বাবা মান সিং MECON-এ জুনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। মা দেবকী দেবী ছিলেন গৃহবধূ। এছাড়াও পরিবারে ছিলেন দাদা নরেন্দ্র সিং ধোনি ও দিদি জয়ন্তী গুপ্তা। ছেলেবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেট খেলার শখ। পড়াশোনায় তেমন মনোযোগই ছিল না মাহির।
পড়াশোনা রাঁচির ডিএভি জওহর বিদ্যা মন্দির স্কুলে। হাই স্কুলে ৬৬ শতাংশ নম্বর পান ধোনি। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৫৬ শতাংশ। তবে ক্রিকেটেই ছিল যাবতীয় আগ্রহ। ১৯৯৩ সালে স্কুলের ক্রিকেট কোচ, কে আর ব্যানার্জিই প্রথম ধোনির প্রতিভা চিনতে পারেন। তিনিই ধোনিকে উইকেট কিপিং করার পরামর্শ দেন। আর সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই রাঁচির বাইরে বহু ম্যাচ খেলতে যেতেন মাহি।
স্কুলের পড়া শেষ করে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.কম করেন ধোনি। এরপর টিকিট কালেক্টর হিসেবে খড়গপুরে কাজ শুরু করেন। কিন্তু খেলার নেশায় সেই কাজ ছেড়ে দেন তিনি। ২০০২ সাল নাগাদ ধোনি যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায়, তখনি প্রিয়াঙ্কা ঝা-র প্রেমে পড়েন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই বছরই এক দুর্ঘটনায় মারা যান সেই বান্ধবী। এরপর ধোনি প্রেমে পড়েন তাঁর তাঁর স্কুল DAV-র সহপাঠী সাক্ষী ধোনির। ২০১০ সালে বিয়ে করেন দু`জনে।
ক্রিকেটের পাশাপাশি বাইক চালানো, সাঁতার কাটা, ফুটবল এবং টেনিস খেলতেও খুব পছন্দ করেন মাহি। আর খেলার সৌজন্যে তাঁর ঝুলিতে পুরস্কারের সংখ্যাও কম নেই। ধোনি ২০১৮ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার পান। এরপর২০০৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৭-০৮ সালে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। ২০১১ সালের অগাস্ট মাসে ধোনিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে ডি মন্টফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতীয় সেনাবিভাগেও এক বিশেষ সম্মান রয়েছে ধোনির।
আপনার মতামত লিখুন :