বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না খোদ রাজ্যের সরকার। যে রাজ্যের উৎসবকে ঘিরে এই অনুষ্ঠানে, সেখানে ব্রাত্য রাখা হল সে রাজ্যের সরকারকেই।
উল্লেখ্য, ইউনেসকো-র পক্ষ থেকে দুর্গাপুজোকে যে সম্মান জানানো হয়েছে তা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সন্ধেয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন শুধুমাত্র রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্য এবং শিল্পীরা। যে রাজ্যের জন্য এই স্বীকৃতি, সেই রাজ্যের মানুষকে অসম্মান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ-র সম্মান প্রদান করে ইউনেসকো। আবার ওই একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই দুর্গাপূজোর আন্তর্জাতিক আসনে বসাতে উদ্যোগী হয় রাজ্যের তৃণমূলশাসিত সরকার।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে আবেদন করেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেই আবেদনকে খতিয়ে দেখে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধির দল বাংলার ঐতিহ্যপ্রাচীন এই দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেয়। অথচ বাংলার দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি উদযাপনের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউই আমন্ত্রণপত্র পেলেন না এখনও পর্যন্ত।
এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক ও বিস্মিত বাংলার পুজো কমিটি থেকে শুরু করে শিল্পীমহল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে কোনও পুজো কমিটির কর্মকর্তা আমন্ত্রণ না পাওয়াতেও, অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। রাজ্যপাল ধনখড় বাঙালি না হয়েও, কীভাবে বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির কথা তুলে ধরবেন মঞ্চে, সে বিষয়েও উঠছে প্রশ্ন। শাহের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পীরাও দাবি করেছেন যে, অনুষ্ঠানে বাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে কথা বলার অধিকার যদি কারও থাকে, তাহলে তা মুখ্যমন্ত্রীর মমতা। পাশাপাশি এই ঘটনাকে বাঙালিকে অপমান করার এক নিকৃষ্ট প্রচেষ্টা বলেও মনে করছে বিভিন্ন মহল।
তবে, আজ রাজ্য সরকারের কাছে আমন্ত্রণ আসে কিনা সেটাই দেখার। পাশাপাশি এটাই দেখার যে রাজ্য সরকার সেই ডাকে সাড়া দেয় কিনা।
আপনার মতামত লিখুন :