বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপিতে এই মুহূর্তে খুবই জটিল পরিস্থিতি। একে একে বিজেপি নেতা-বিধায়ক-সাংসদরা দল ছাড়ছেন, পদ ছাড়ছেন। দলের অভ্যন্তরে কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। উদ্দেশ্যে দলকে ফের চাঙ্গা করা, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের দলকে শক্তিশালী এবং দলের অভ্যন্তরের সমস্যা দূর করা।
কিন্তু দলের অন্দরের কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বুধবার হুগলিতে পৌঁছলেও, দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতেই পাড়লেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। পার্টি অফিসে এসে, এভাবে দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। তা স্বভাবতই বেশ বিরক্ত জে পি নাড্ডা। চাবিই পাওয়া গেল না। তাই অপেক্ষা করে শেষে ফিরে গেলেন।
বুধবার তাঁর কনভয় পার্টির কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর দেখা যায় অফিসের দরজায় তালা দেওয়া। এমনকি চাবি কোথায়, তা নিয়েও শুরু হয়ে যায় একে অপরকে দোষ দেওয়ার কাজ। এভাবেই প্রকাশ্যে চলে আসে পদ্ম শিবিরের গোষ্ঠী দন্দ্বের ছবিটা। একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায়।
তবে, অশান্তির শুরুটা হয়েছিল জে পি নাড্ডা পৌঁছানোর আগেই। তিনি চুঁচুড়ার বন্দেমাতরম ভবনে পৌঁছানোর আগেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হুগলির জোড়াঘাটে। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একসময় রীতিমতো ধমকাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহকে। এদিকে, সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আসার আগেই রাস্তার ধার থেকে জেলা সভাপতির ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়। সেটা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এদিকে, বন্দেমাতরম ভবন ঘুরে দেখার পর চন্দননগরের রওনা দেওয়ার আগে চুঁচুড়ার বিজেপির হুগলির সাংগঠনিক জেলার দলীয় অফিসে কিছু সময় কাটানোর ইচ্ছে থাকলেও, চাবি না পাওয়ার কারণে তা হল না। এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সামনেই দলের কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকাশ পেয়ে গেল।
বুধবার রাতেও নিউটাউনের হোটেলে ফিরে দলের কর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন জে পি নাড্ডা। সূত্রের খবর, সেখানে দলের অভ্যন্তরে চলা অশান্তি দ্রুত মেটাতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমস্ত বিদ্রোহ এবং দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
আপনার মতামত লিখুন :