ইতিমধ্যেই গরমের তীব্রতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালের দিকেই মেঘলা আকাশ ও ঠান্ডা হাওয়া থাকলেও বেলা গড়াতেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রার কারণে যেমন সানস্ট্রোক এর হার বৃদ্ধি পায়, তেমনিই হৃদরোগে মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে কোন সময় এবং কোন বয়সীদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে তা জেনে নেওয়া দরকার। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য এক নজরে দেখে নিন-
এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, গ্রীষ্মের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই ৪% হৃদরোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। গবেষকদের মতে, ৬০-৬৫ বছর বয়সী পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। জানা গেছে মহিলাদের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে বিএমজে ওপেন জার্নালে প্রকাশ পাওয়া এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালের রাতে হৃদ রোগে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হল শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ কমে যাওয়া ও অনিয়মিত খাদ্যাভাস। উল্লেখ্য গবেষকদের মতে, হৃদ রোগের ক্ষেত্রে গরম হাওয়া খুবই ক্ষতিকর। আর গরমকালের রাত বেশি গরম হয়ে ওঠে। আর সে কারণেই হৃদ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই গরম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তবে গবেষকদের মতে, এই ঝুঁকি এড়াতে রাত্রে বেশি পরিমাণে জল পান, ঘুমানোর সময় এসি এর ব্যবহার অথবা জানলা দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে হবে। ঘর ঠান্ডা থাকে। এভাবে কিছুটা হলেও হৃদ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :